২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃনজরুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে সেই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন পায়নি বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী তরুণী ও তার পরিবার। এছাড়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সবুর খান তদন্তে তার সঙ্গে ঠিকভাবে সমন্বয় করেনি বলে দাবি করেন সেই তরুণী। মোটা অংকের টাকার ঘুষ লেনদেন ও ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় ন্যায় বিচার নিয়ে শংকিত ধর্ষতা এমন অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তরুণী এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বলেন, ২০১৭ সালে চাকরি চাইতে কাঁঠালিয়ার তৎকালীন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে চেয়ারম্যান) এমদাদুল হক মনিরের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। চাকরির তদ্বিরের কথা বলে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল তাকে বরিশাল নগরীর আগরপুর রোডে তার বন্ধু মিঠু সিকদারের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে মনির। ওইদিনই তথাকথিত এক কাজী ডেকে বিয়ের করার কথা বলে বিভিন্ন কাগজপত্রে তার সাক্ষর নেয় সে।
তিনি বলেন, এরপর থেকে স্ত্রী পরিচয়ে মনির তার বাড়ি আমুয়া বাজারে তার ৫তলা ভবনে, বরিশাল নগরীতে বন্ধু মিঠু সিকদারের বাসা এবং ঢাকার লঞ্চের কেবিনে তার সঙ্গে মেলামেশা হয়। এক পর্যায়ে বিয়ের কাগজপত্র চাইলে মনির টালবাহানা শুরু করে এবং বিয়ে হয়নি বলে জানায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট মনিরের বিরুদ্ধে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করি। এছাড়া মামলার পর থেকে আসামি ও তার সহযোগীরা তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে ওই তরুণী দাবি করেন।’