২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
এশিয়ার অন্যতম সৌন্দর্যময় গুঠিয়া মসজিদ ও ঈদ গাঁ কমপ্লেক্সে…

এশিয়ার অন্যতম সৌন্দর্যময় গুঠিয়া মসজিদ ও ঈদ গাঁ কমপ্লেক্সে…

রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি॥গুঠিয়া মসজিদ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম জামে মসজিদ,যা বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের চাংগুরিয়া গ্রামে অবস্থিত। বরিশাল শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের পাশে ১৪ একর জমির ওপর বিশাল এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। গুঠিয়া মসজিদ নামে পরিচিতি পেলেও এর নাম ‘বাইতুল আমান’। ২০০৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা দানবীরখ্যাত এস. সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু তার নিজ গ্রাম চাংগুরিয়ায় গুঠিয়া বাইতুল আমান জামে মসজিদ এবং ঈদগাহ্ কমপ্লেক্সের নির্মাণ শুরু করেন। ২০০৬ সালে গুটিয়া মসজিদ ও ঈদগাহ্ কমপ্লেক্সের নির্মাণ সম্পন্ন হয়। গুঠিয়া মসজিদ কমপ্লেক্সের ভেতরে রয়েছে একটি মসজিদ, সুদৃশ্য মিনার,৮ টি গম্বুজ ২০ হাজার লোকের ধারণক্ষমতার ঈদগাহ্ ময়দান, একটি ডাকবাংলো,এতিমখানা, গাড়ি পার্কিং, পুকুর, লেক এবং ফুল-ফলের বাগান। মসজিদটিতে এক সঙ্গে প্রায় ১৫০০ মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারে এবং মসজিদটির মিনারের উচ্চতা প্রায় ১৯৩ ফুট। মসজিদটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২১ কোটি টাকা এবং মসজিদের নির্মাণ শৈলীতে ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের নামকরা মসজিদের ছাপ লক্ষ করা যায়। মসজিদটিতে উন্নমানের কাঁচ, ফ্রেম, এবং বোস স্পিকার ব্যবহার করা হয়েছে। গুঠিয়া মসজিদটির তত্ত্বাবধানে ৩০ জন কর্মচারী সর্বদা নিয়োজিত রয়েছে।এই মসজিদটিতে মহিলাদের পৃথক নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সে কাবা শরীফ, জমজম কূপের পানি, আরাফার ময়দান, জাবালে রহমত, জাবালে নৃর, নবীজীর জন্মস্থান, মা হাওয়ার কবর স্থান, খলিফাদের কবরস্থান, অন্যান্ন বিখ্যাত মসজিদ এবং বিখ্যাত জায়গার মাটি সংরক্ষন করা আছে,যা দর্শনার্থীরা দেখতে পারেন। অত্যাধুনিক নির্মাণ শৈলীতে নির্মিত দৃষ্টি নন্দন এ মসজিদ দেখতে এবং নামাজ আদায় করতে প্রতিদিন হাজারো দর্শণার্থীর আগমন ঘটে। বিশেষ করে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ-উল আজহা সহ বিভিন্ন পার্বনে এ মসজিদ প্রাঙ্গনে হাজারো দর্শনার্থীর ভিড় পড়ে যায়। তবে কোভিড-১৯ প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাসের কারনে সাম্প্রতিককালে এ মসজিদে প্রবেশে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তারপরেও প্রতিদিন দর্শনার্থীর আগম ঘটে। ###

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019