২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২০ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বরিশালে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নেয়ার সময় ধস্তাধস্তি এবং মারধরে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর রূপাতলী রেডিও স্টেশন এলাকায় এই ঘটনা সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় রূপাতলী এলাকার ড্রীম লাইফ মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মালিকসহ ৫ জনকে পুলিশ আটক করেছে। নিহত যুবক সুমন খান (৩৫) একই এলাকার মৃত ছত্তার খানের ছেলে।
সে মাদকসক্ত হওয়ায় গত ৬ মাস ধরে ওই কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলো বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। আটককৃতরা হলো উজ্জ্বল সমাদ্দার, মো. রায়হান, ফজলে রাব্বি, বায়জিদ হোসেন ও আবুল কালাম।
স্থানীয় ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির মোল্লা জানান, সুমন একই এলাকায় ড্রীম লাইফ নামে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার সে ওই কেন্দ্র থেকে পালিয়ে বাড়িতে যায়।
খবর পেয়ে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন তাকে ধরে নিতে গেলে সুমনের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা এবং ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে তারা সুমনকে শারীরিক নির্যাতন করে এবং বেঁধে ফেলে। এ সময় নিস্তেজ হয়ে যায় সুমন। স্বজনরা তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্র্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। সুমনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী মাদক নিরাময় কেন্দ্রের ৫ জনকে ঘিরে রাখে।
পরে পুলিশ তাদের আটক করে।
নিহতের মা ও বোন জানায়, সুমনকে চিকিৎসার জন্য নিরাময় কেন্দ্রে দেয়া হয়েছিলো। সে বাড়ি এলে তাকে ধরে নেয়ার নামে বেঁধে চ্যাংদোলা করে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ তাদের। তারা অভিযুক্তদের বিচার দাবী করেন।
কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, ময়নাতদন্তের জন্য সুমনের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদক নিরাময় কেন্দ্রের ৫ কর্মচারীকে পুলিশ আটক হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।