২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৮ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
মায়ের অত্যাচারে ৫ বছর রাস্তায় শিশু, অতঃপর…

মায়ের অত্যাচারে ৫ বছর রাস্তায় শিশু, অতঃপর…

ডেস্ক প্রতিবেদক
‘মা (সৎ মা) আমারে শুধু মা রে। আব্বা কিছু কয় না। দেখেন আমার শরীরে দাগ লাগি আছে। আমি ব্যথা পাই। আমি পুলিশের সঙ্গে থাকুম। পুলিশের চাকরি করুম। আর বাড়ি যামু না। আবার আমারে মারবো এ বলে বুক ফুলিয়ে কাঁদতে থাকে।’

ঈদের দিন শনিবার বিকাল ৪টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানার ওসির সঙ্গে সাক্ষাতে গেলে শিশু সায়েম (৯) কেঁদে কেঁদে এসব কথা বলেছে।

অসহায় শিশু সায়েম জেলার সদর উপজেলার পালেরহাটের মুক্তারামপুর গ্রামের কালু মিয়া ও মৃত কুলসুমার ছেলে। তার সৎ মা স্বপ্না বেগম।

পুলিশ জানান, প্রায় দেড় বছর বয়সে শিশু সায়েম তার মাকে হারান। তার কয় মাস পর সায়েমের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎমা শিশু সায়েমকে সহ্য করতে না পেরে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। এছাড়াও অনাহারেও থাকতে হয় শিশুটিকে। দিনমজুর বাবা এসব দেখেও কিছুই বলার সাহস পায়নি।

অবশেষে নিরুপায় সায়েম ৪ বছর বয়সে বাবার ঘর ছেড়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বুধবার রাতে সায়েম থানা মসজিদের সিঁড়ির সামনে ঘুমিয়ে ছিল। মসজিদের কয়েকজন মুসুল্লি সায়েমকে দেখে থানায় নিয়ে যান। রায়পুর থানার ওসি সদর থানার ওসির মাধ্যমে সায়েমকে নিয়ে যেতে তার বাবাকে সংবাদ দিলে সে আসেনি। কিন্তু সায়েম গত ৩ দিন পুলিশের আশ্রয় রয়েছে। পুলিশের ভালোবাসায় মুগ্ধ শিশুটি।

শিশু সায়েম বলে, ‘আমি থানা থাইক্কা কোনানো যামু না। পুলিশের কাছে থাকুম। আমিও বড় হয়ে পুলিশ হমু। স্যারেরা আমারে অনেক আদর করছে। বালা খাওন দিছে। বাড়ীতে গেলে আবার আমারে মারবো ‘মা’। আব্বা কিছু কয় না। আর বাড়ীতে যামু না।’

রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, গত তিন দিন ধরে মা হারা ৯ বছরের শিশু সায়েম আমার কাছে রয়েছে। তার বাবাকে সংবাদ দিলেও সে আসছে না। সৎ মায়ের অত্যাচারে শিশুটি চার বছর থেকে রাস্তায় ঘুরছে। ঈদের দিন আমাদের সঙ্গে আনন্দ করেছে শিশুটি। এসপির সঙ্গে কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019