২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
২০ লাখ টাকায় ছাত্রলীগের থানা সেক্রেটারির পদ বেচাকেনা! আজকের ক্রাইম-নিউজ

২০ লাখ টাকায় ছাত্রলীগের থানা সেক্রেটারির পদ বেচাকেনা! আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক

এবার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদটি বিশ লাখ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহির বিরুদ্ধে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রীগের সাধারণ সম্পাদক পদটি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জেলা পর্যায়ের এই দুই নেতা মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী মাহতাবুর আলম জাপ্পিকে সাধারণ সম্পাদক বানানোর প্রলোভন দিয়ে টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জাপ্পী এরই মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর পর উল্টো চরম হুমকির মুখে পড়েছে।

তারা হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে মাধবপুর থানা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি লিখে দুজনে স্বাক্ষর করে মাহতাবুর আলম জাপ্পির আমেরিকা প্রবাসী ভাই শাহীনের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান। এর বিপরীতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর ১১ লাখ টাকা এবং সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

অভিযোগপত্রের সঙ্গে টাকা লেনদেন এবং কথোপকথনের যাবতীয় রেকর্ডপত্রও জমা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলছেন, নেতৃত্ব বিক্রির নামে টাকা লেনদেনকারীদের ছাত্রলীগে থাকার অধিকার নেই।

শিগগিরই ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনা প্রমাণিত হলে যারা টাকা দিয়েছে এবং যারা টাকা নিয়েছে দুই পক্ষই ছাত্রলীগ করার অধিকার হারাবে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। যাতে তারা কেউই ভবিষ্যতে আর ছাত্রলীগে যোগ দিতে না পারে।
সম্প্রতি মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দেয়ার কথা উঠে।

এরমধ্যেই ছাত্রলীগ কর্মী জাপ্পির আমেরিকা প্রবাসী ভাই শাহীনকে ফোন করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি জানান, আপনার ভাই জাপ্পি যেহেতু ছাত্রলীগ করে চাইলে তাকে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি পদ পাইয়ে দেয়া যাবে। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমানও তার সঙ্গে কথা বলেন। তারা উভয়ে শাহীনের ছোট ভাইকে কমিটিতে স্থান পাইয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন।
এরপর জাপ্পিকে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগে স্থান দেয়া হচ্ছে এর প্রমাণস্বরূপ জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি স্বাক্ষরিত একটি কমিটির স্ক্যানকপি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো হয় জাপ্পির প্রবাসী ভাই শাহীনের কাছে। দেখা গেছে, গত ১৮ মে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে লেখা আছে আগামী এক বছরের জন্য মাধবপুর উপজেলা শাখার অনুমোদন দেয়া হলো। এতে সভাপতি শহীদ আলী শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাবুর আলম জাপ্পি।
এর প্রেক্ষিতে আমেরিকা প্রবাসী শাহীন ৭৮০০ ডলার, যার ক্যাশ ডিপোজিট নম্বর: ৯৫, একাউন্টের শেষের নম্বর: ১২৩০ তারিখ ১৮/০৫/২০২০। আমেরিকায় সাইদুরের এক আত্মীয়র একাউন্টে দেন। ওই ব্যক্তি সাইদুরের পক্ষ থেকে টাকাগুলো বুঝে নেন। তাছাড়া গত ১০ মে বাংলাদেশে সাইদুরের ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টে (একাউন্ট নম্বর: ১৮৭১৫১০০৫০৮৯৫) ৩৮৪৫১৬৪ নং রশিদে ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা দেন। (যার একাউন্ট নম্বর: ১৮৭১৫১০০৫০৮৯৫ এবং বাকি টাকা নগদে জমা দেয়া হয়। )

এছাড়া আরও ৫০ হাজার টাকা সাইদুরের একাউন্টে জমা দেওয়া হয়। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহিকে ৯ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নগদে ৫ লাখ ও ৪ লাখ টাকার চেক দেয়া হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

এদিকে মাহতাবুর আলম জাপ্পির ভাই আমেরিকা প্রবাসী শাহীন বলেন, আমি সরল বিশ্বাসে টাকা দিয়েছি। এখন টাকা পেয়ে পদতো দিচ্ছেই না, পাল্টা টাকা নেয়ার কথাও স্বীকার করতে চায় না। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বেশ দিন ধরেই শাহীনের সঙ্গে আমার কথা হতো। এসব কথা রেকর্ড করে রেখেছে সে। তবে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য না।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019