২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
পাটকল শ্রমিকদের পাওনা অর্ধেক নগদে, বাকিটা সঞ্চয়পত্রে পাবেন
পাটকল শ্রমিকদের বেতনসহ পাওনাদি ২ লাখ টাকার বেশি হলে অর্ধেক নগদে ও বাকি অর্ধেক সঞ্চয়পত্রে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) গণভবনে এক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
প্রায় ২৫ হাজার পাটকল শ্রমিক অবসরকালীন সুবিধাসহ প্রায় ৫ হাজার কোটি পাবেন জানিয়ে আহমদ কায়কাউস বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে শ্রমিকদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত ৪৪ বছরে মধ্যে মাত্র চারবার লাভ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলগুলো। বেসরকারি খাতের পাটকলগুলো লাভ দেখাতে পারলেও বিজেএমসির আওতাধীন মিলগুলো বছরের পর বছর লোকসান করে যাচ্ছে। ৪৮ বছরে পাটকলগুলোর ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা । এমন অবস্থায় অব্যাহত পাটকল শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় জানানোর ঘোষণা দেয় সরকার।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও বকেয়া পাওনা এককালীন পরিশোধের দাবি ওঠে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে। এবার সরকার থেকে এলো সে ঘোষণাও। গণভবনে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানান, পাওনা বাবদ পাঁচ হাজার কোটি টাকা বাজেট থেকে দেয়া হবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকের পাওনা দুই লাখ টাকা হলে পুরোটাই নগদে পরিশোধ করা হবে। পাওনা এর বেশি হলে অর্ধেক নগদে বাকিটা তিনমাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। নগদ পরিশোধ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এবং সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে পাওনা সরাসরি সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে নির্ধারিত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।
১। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী নোটিশ মেয়াদের ৬০ দিনের মজুরি
২। চাকরি বিধি অনুযায়ী প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি
৩। পিএফ তহবিলে জমাকৃত সমুদয় অর্থ
৪। প্রাপ্য গ্র্যাচুইটির উপর নির্ধারিত হারে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধা পাবেন শ্রমিকরা।
গত ২৫ শে মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের এক বৈঠকের পর শুরু হয়েছে স্থায়ী শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রক্রিয়া। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ২৬টি পাটকলের স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার, চুক্তির ভিত্তিতে কর্মরত আরো প্রায় ২৬ হাজার শ্রমিক।