২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০২ অপরাহ্ন, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড
সিডনির অপেরা হাউজে হঠাৎ আলোর ঝলসানি। মেলবোর্ন, ক্যানবেরা, ওয়েলিংটন, অকল্যান্ড, হ্যামিল্টন হঠাৎ যেন সেজেছে নববধুর সাজে। মাত্র তিন বছর পর, ২০২৩ সালের নারী ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন হওয়ার লড়াইয়ে লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়াকে পেছনে ফেলে দায়িত্ব পেয়ে গেলো যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার দুই প্রতিবেশী দেশের নাম ঘোষণা করে ফিফা।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বিশ্বকাপ আয়োজনের দৌড় থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল জাপান। দৌড়ে ছিল ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া। তবে শেষ ধাপে এসে দৌড় জমে ওঠে কলম্বিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে। শেষ লড়াইয়ে বাজিমাত করল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড।
প্রসঙ্গতঃ আগামী ২০২৩ থেকেই ফরম্যাট বদলে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে ৩২ দেশের নারী ফুটবল বিশ্বকাপ। এতদিন ২৪ দেশের নারী ফুটবল বিশ্বকাপের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন ফুটবল প্রেমীরা।
গতবছর পুরনো ফরম্যাটে ফ্রান্সের মাটিতে শেষবার বিশ্বকাপ জিতে নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর আনন্দে ফেটে পড়েন অসি নারী ফুটবল তারকা স্যাম কের। চেলসির এই ফুটবলার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে লেখেন, ‘আমরা পেরেছি। এগিয়ে চলো অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে ঘরের মাঠে।’
অস্টেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের ১২ শহরের মোট ১৩টি স্টেডিয়ামে ২০২৩ সালের জুলাই-অগস্টে অনুষ্ঠিত হবে নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী ম্যাচ।
অন্যদিকে টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। অস্ট্রেলিয়ার ৭টি এবং নিউজিল্যান্ডের ৫টি শহরে চলবে এই ফুটবল যজ্ঞ। যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের দুটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি।
করোনা আবহে বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যেই নির্ধারিত হয় আয়োজক নির্ধারনের পুরো বিষয়টি। ফিফার ফুটবল কাউন্সিলের ৩৭ জন সদস্যের উপস্থিতিতে ২০২৩ নারী ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে যুগ্মভাবে বেছে নেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে।