২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জলিলুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার
বরগুনার তালতলীতে চাঁদাবাজির টাকা না দেওয়ায় কুপিয়ে জখম করার বিচার চেয়ে ও মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদসম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগি পরিবারটি।
সোমবার(০১ জুন)বেলা ১১টার দিকে তালতলী সাংবাদিক ফোরামে মামলার বাদী সাবেক ইউপি সদস্য(সংরক্ষিত) ফাতেমা বেগম এ বিষয়ে সংবাদসম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্য বলেন, গত ২৩ মে বিকেল ৫টার দিকে খোট্টারচর এলাকায় স্থানীয় হুমায়নের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। পরে ইমরান ও আলমগীরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে। এ সময় আমলগীর কোনো মতে মোটরসাইকেল থেকে নেমে পালিয়ে গিয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ইমরান কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। এতে মটরসাইকেলটিও ভেঙ্গেচুরমার করা হয় ও সাথে থাকা দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনতাই করে নেন। এঘটনায় তালতলী থানায় আমি বাদী হয়ে একটি মামলা করি। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ আমার ছেলেসহ ৬ জন কে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা করেন। সেই মামলায় আমাদের প্রতিনিয়তই হয়রানি করে আসছে পুলিশ।
এদিকে আমাদের মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। আসামীদের আস্তানার ঠিকানা দিলেও তাদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না । তিনি আরও বলেন সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান হুমায়ন উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবীর জোমাদ্দারের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সব সময়ই তাপবিদ্যু কেন্দ্র চাঁদাবাজি করেন। আর কেউ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রর পুরাতন মালামালের ব্যবসা করতে পারবে না বলে হুমকি দেয়। এর পরেও আমার ছেলে মেসার্স হাওলাদার ট্রেডার্স এর কর্মী হিসেবে পুরাতন মালামালে ব্যবসা দেখাশুনা করেন। তার পরিপেক্ষিতে এ হামলা হয়। আমি এই সংবাদসম্মেলনের মাধ্যেমে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার পাই
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন,এ মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আসামীদের আস্তানার ঠিকানা দিলেও তাদের পুলিশ গ্রেফতার করেনা এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এগুলো সঠিক না। আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।দ্রæত আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।