২০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা! দর্শনায় দাড়ানো ট্রাকে আগুন ধরিয়েছে দুর্বৃত্তরা বিরামপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বড় বোনের ইন্তেকাল
নলছিটি উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ। আজকের ক্রাইম-নিউজ

নলছিটি উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ। আজকের ক্রাইম-নিউজ

আজকের ক্রাইম ডেক্স
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মন্নান সিকদারের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের কার্ড বিতরণে অনিয়মসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজের অপরাধ ইউপি সদস্যদের মাথায় দিয়ে নিরাপদে পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বললে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় ইউপি সদস্যদের। সন্ত্রাসের রাজত্ব বানিয়ে সুবিদপুর ইউনিয়ন থেকে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শনিবার সকালে নলবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রেজাউল করিম সোহাগ খান। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মাষ্টার উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল নিয়ে কারসাজির অভিযোগে ১৫ মার্চ সোহাগ খানকে এক মাসের কারাদÐ প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে গত ৫ মে তাকে ইউপি সদস্যপদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
লিখিত অভিযোগে সাবেক এ জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করেন, তাকে যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে, এ ধরণের অভিযোগ রয়েছে সকল জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাণ আবদুল মন্নান সিকদারের নির্দেশ ছাড়া কোন সদস্য কিছুই করতে পারেন না। তালিকা করে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিলেও তিনি নিজের পছন্দের লোকজনের নাম ঢুকিয়ে তালিকা জমা দেন। এখানে ইউপি সদ্যদের কোন দোষ নেই। সুতরাং বরখাস্ত করতে হলে চেয়ারম্যানকেই করা প্রয়োজন।
লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মন্নান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় করেছেন। নিজের নামে, স্ত্রী ও সন্তানদের নামেও একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। তালতলা বাজারে রয়েছে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সবকিছুই করেছেন সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে মানুষকে ঠকিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে। সঠিক তদন্ত হলে তাঁর দুর্নীতির চিত্র বেড়িয়ে আসবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মন্নান সিকদার বলেন, আমার নামে যদি দুর্নীতি ও অনিয়মের কোন কিছু প্রমান করতে পারে, তাহলে সরকার জেল দিলেও মাথা পেতে নেবো। যারা অভিযোগ করছেন, তাদের দুর্নীতি ঢাকতে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমি কখনো দুর্নীতি ও অনিময়ন করি না। আমার অতিরিক্ত কোন সম্পদ নেই। আগে যে রকমের ছিলাম, এখনো সেভাবেই আছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019