২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বি এম মনির হোসেন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ-
কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নগরবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নগরবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মতুর্জা খান। প্রধান অতিথী দি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিঃ এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন সরদার, বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সিরাজুল হক তালুকদার, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর শফিকুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুনিল চন্দ্র দেবনাথ, মোঃ আবুল কালাম, জামাল হোসেন গাজী, প্রীতিশ বিশ্বাস, গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও অত্র বিদ্যালয়ের এস এমসি সদস্য মোঃ মশিউর রহমান, রশিদ খান, বকুল বেগম, নগরবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, সহকারি শিক্ষক নাজমুন নাহার,রীতা বাড়ৈ, অপর্না সরকার, অসিমা রায়,প্রিয়াংকা বৈষ্ণব সহ শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রত্যেক শ্রেণীতে বার্ষিক পরিক্ষায় প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রধান অতিথী দি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিঃ এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন সরদার তার নিজ অর্থায়নে পুরস্কার বিতরণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মতুর্জা খান বক্তব্যে বলেন, শহরে শিশুরা গৃহবন্দি সময় কাটায়, তাদের বিনোদন বলতে এখন কম্পিউটার গেম, মেবাইল ফোন গেম বা টিভি দেখা। ব্যাট বলের পরিবর্তে হাতে থাকে ট্যাব। তারা সবুজ মাঠ এখন দেখে ভার্চুয়াল জগতে। খেলাধুলাও সেখানে। অভিভাবকরাও এত ব্যস্ত যে শিশুদের সময়ই দেননা। কর্মজীবী মা-বাবা শিশু দেখাশোনার ভার ছেড়ে দিয়েছেন গৃহকর্মী বা আয়াদের ওপর। আকাশ না দেখা শিশু বড় হচ্ছে ঘরের কোণে একাকি। ঢাকার ৯৫ ভাগ স্কুলে কোনো খেলার মাঠ নেই। কাগজে-কলমে রাজধানীতে সিটি করপোরেশনের মোট ৫৪টি পার্ক ও ২৫টি খেলার মাঠ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এগুলোর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া ভার। মাঠের অভাবের শহরের শিশুরা খেলাধুলা করতে পাছেনা। এই সুযোগে ঢাকায় গড়ে উঠেছে কিছু প্লে-জোন নামের ভার্চুয়াল গেমের কর্নার। ফার্স্ট ফুডের দোকানের সঙ্গেই এগুলোর অবস্থান। সেই সব প্লে-জোনে ভার্চুয়াল জগতে শিশুদের বন্দুক চালানো বা কার ড্রাইভিংয়ের মতো গেমস-এ অভ্যস্ত করা হচ্ছে। এমন অনেক গেম আছে যা শিশুদের উপযোগীই নয়। শহরে শিশুরা জাংক ফুডের সাথে গিলছে অদ্ভুত সব ভার্চুয়াল গেম। তৈরি হচ্ছে ব্যস্ত পৃথিবীর অনুপযোগী প্রজন্ম। একদিকে শিশুর যেমন খেলার মাঠ নেই, নেই হাত-পা ছুড়ে বেড়ানোর জায়গা, একারনেই শহরের শিশুরা বিভিন্ন ভাবে নির্মমতার শিকার হচ্ছে । আর গ্রামের শিশুরা বেড়ে উঠছে খোলা নিল আকাশের নিচে প্রতিটি স্কুলেই রয়েছে খেলার মাঠ। বেড়ে উঠছে মায়া মমতার বন্ধনে সামাজিক মানুষ হিসাবে। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিার একটি বড় অংশ। শিার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে হবে। নিজের মেধাকে বিকশিত করতে হলে স্ব-শিায় শিতি হতে হবে। শিার্থীদের জীবনের লক্ষে পৌঁছানোর জন্য পড়াশোনায় অধিকতর মনোযোগী হওয়ারও আহ্ববান জানান তিনি। শিক্ষা মানোন্নয়নে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও শিকদের একযোগে কাজ করতে হবে। তাহলেই ভাল ফলের পাশাপাশি জ্ঞানার্জন সম্ভব হবে। গড়ে উঠবে একজন ভালো মানুষ।