২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৫ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ তহিরুল ইসলাম নিজস্ব প্রতিনিধি::-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২১ হাজার ৩শত কোটি টাকা ব্যয় হবে। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী গতকাল শুক্রবার শাহজালালে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মান কাজে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সোনার তরী ও অচিন পাখি নামে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি নতুন ড্রিমলাইনার্স এয়ারক্রাপ্ট বোয়িং ৭৮৭-৯ এবং বিমানের একটি নতুন মোবাইল অ্যাপসও উদ্বোধন করবেন। প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী আরও বলেন তৃতীয় টামির্নাল নির্মিত হবার পর এটি হবে এই অঞ্চলের মধ্যে সর্বাধুনিক বিমানবন্দর। এটি নির্মিত হলে বছরে আরও অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মানে ২১ হাজার ৩শত কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে পাওয়া যাবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা থেকে পাওয়া যাবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায় জাপানের মিটসুবিশি এবং ফুজিতা ও কোরিয়ার স্যামসং একটি কনসোর্টিয়ামের অধিন একটি কনসোর্টিয়াম এই নির্মাণ কাজটি করবে। সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মহিবুল হক এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানও বক্তব্য রাখেন। সচিব মহিবুল হক বলেন একটি একক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরের মাধ্যমে নতুন টার্মিনালটির সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব হবে। সরকার নতুন টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং টাস্কের জন্য একটি দক্ষ কোম্পানি মনোনীত করতে দরপত্র উন্মুক্ত করে দিবে। সচিব হক এর আগে বৃহস্পতিবার জানান ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির একনেক বৈঠকে প্রথমে ১৩ হাজার ৬১০ দশমিক ৪৭ কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। তবে পরবর্তীতে একটি পৃথক কার্গো হাউজ স্থাপনসহ প্রকল্প কাজের কিছু অংশ বর্ধিত করায় মোট প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২১ হাজার ৩শত কোটি টাকা হয়েছে। তিনি আরও জানান রফতানি ও আমদানি কার্গো হাউজ পৃথক করা এবং নতুন ভিআইপি টার্মিনাল করায় প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সচিব হক জানান জাপান ভিত্তিক কনসালট্যান্ট ফার্ম সিএএবিসহ জাইকা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কনসালটেশনের ভিত্তিতে পরিকল্পিতভাবে এবং হিসাব করেই এই ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও জানান গত ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পের বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
নতুন আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালটি হবে ২২ দশমিক ৫ লাখ বর্গফুট। বর্তমানে দুটি টার্মিনালে ১০ লাখ বর্গফুট স্পেস রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিমানবন্দরের বর্তমান যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে ২ কোটি হবে এবং কার্গোর ধারণ ক্ষমতা বর্তমান দুই লাখ টন থেকে বেড়ে পাঁচ লাখ টন হবে।