২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
লোকসানের ঘানি টানছে রেল যাত্রীরাও পাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা

লোকসানের ঘানি টানছে রেল যাত্রীরাও পাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা

মোঃ তহিরুল ইসলাম নিজস্ব প্রতিনিধি::-

ভিআইপি বাদে অন্যান্য টিকিট সংরক্ষণ পদ্ধতি তুলে নিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত টিকিটও ৪৮ ঘণ্টা আগে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। গত ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন মিয়া জাহান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকরের জন্য সিএনএস লিমিটেডকে, অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রির প্রতিষ্ঠান, বলা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জিএম, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক ডিআরএম, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা সিসিএম ও প্রধান পরিবহন কর্মকর্তাকে সিওপিএস দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান রেল স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে গেলে প্রায়ই জানানো হয় আসন খালি নেই অর্থাৎ টিকিট নেই। অথচ প্রায় প্রতিদিনই একেকটি আন্তঃনগর ট্রেনে ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ টিকিট অবিক্রিত থাকে। লোকাল ট্রেনে অবিক্রিত থাকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। আর ট্রেনের ভেতরের নিত্যদিনের চিত্র হচ্ছে- পা ফেলার জায়গা নেই। অথচ লোকসানের ঘানি টানছে রেল যাত্রীরাও পাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা।
সূত্রমতে: বর্তমানে ৩৫৮টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। ৯৬টি আন্তঃনগর। এসব ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় ৭৫ হাজার টিকিট বরাদ্দ থাকে। বাকি ট্রেনের মধ্যে রয়েছে কমিউটার লোকাল ও মেইল। রেলওয়ে বাণিজ্যিক বিভাগের সূত্র জানায়, মাসের প্রায় ২৫ দিনই আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ অবিক্রিত থাকে। আর লোকাল ও মেইল ট্রেনের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ টিকিট প্রায়ই অবিক্রিত থেকে যায়।
রেলসূত্র জানায়, রেলের টিকিট বিক্রিতে নানা ধরনের কোটা রয়েছে। কিন্তু এর বাইরেও রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও প্রভাবশালীদের চাপে বিভিন্ন সময়ে নির্ধারিত কোটার বাইরেও টিকিট সংরক্ষণ করতে হয়। চাহিদার তুলনায় রেলের টিকিটের সরবরাহ কম থাকায় বিশেষ বিশেষ ট্রেনগুলোতে নিয়মের বাইরে টিকিট সংরক্ষণের চাপ আসে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রেলওয়ের পরিপত্র অনুযায়ী সকল আন্তঃনগর ট্রেনে সংসদ সদস্য, বিচারপতি, ভিআইপি, প্রতিবন্ধী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য কোটায় নির্ধারিতসংখ্যক সংরক্ষিত আসন ব্যতীত সকল আসন যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর রেলভবনে অনুষ্ঠিত মাসিক পরিচালন পর্যালোচনা সভায় ওআরএম কাউন্টারের টিকিট ও অনলাইনের টিকিট এক তারিখে উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019