১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩১ অপরাহ্ন, ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিউজ ডেক্স
শুভেচ্ছা দূত হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার তথ্য আইসিসিকে না জানানোয় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এই নিষেধাজ্ঞার চারদিন পর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে যান সাকিব। রবিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হন। তবে দুদক কার্যালয় থেকে চলে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি সাকিব।
এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, সাকিব আল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুভেচ্ছা দূত। তিনি সকালে দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসেছিলেন। সাক্ষাত শেষে তিনি চলে গেছেন।
এদিকে হঠাৎ করে সাকিব দুদক কার্যালয়ে যাওয়ায় কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর বের হয়, আইসিসির নিষেধাজ্ঞার পরে দুদকের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে সাকিবকে রাখা হবে কিনা, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনার জন্য দুদকে ডাকা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রণব কুমার বলেন, এগুলো ভুল তথ্য। সাকিবকে ডাকা হয়নি। তিনি দুদকের শুভেচ্ছা দূত। দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসেছিলেন।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং প্রতিরোধ ও অণুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সাকিব। সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর দুদক চেয়ারম্যান বলেছিলেন, সাকিব কোনো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়নি। দুদক সব সময় তার পাশে আছে। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর সাকিবকে নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেছিলেন, সাকিবকে নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। কিন্তু একই সঙ্গে সে ভুল স্বীকার করেছে, তার মধ্য দিয়ে সে উচ্চ নৈতিকতার পরিচয় দিয়েছে। দুদক যখন চেয়েছে তখনই সাকিব বিনা পয়সায় আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে। সে তরুণদের আইডল। আশা করি আগের মতোই আমরা সাকিবকে পাশে পাব।
প্রসঙ্গত, দুই বছর আগে জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান। তবে তা গোপন রাখেন আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের (আকসু) কাছে। এর দায়ে বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি।
যদিও প্রথমে নিষেধাজ্ঞাটা ছিল দুই বছর। তবে ভুল স্বীকার করায় এক বছর শিথিল করা হয়। এ সময়ে ফের অপরাধ করলে আগের শাস্তিই বহাল থাকবে। আর কোনো দুর্নীতিতে না জড়ালে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ২৯ অক্টোবর থেকে। সেই হিসেবে আগামী বছরের একই দিনে তার এক বছরের শাস্তির মেয়াদ শেষ হবে। আইসিসির বিভিন্ন শর্ত পূরণ করলে তখন থেকেই মাঠে ফিরতে পারবেন এই অলরাউন্ডার। আর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর শুরু হবে ১৭ অক্টোবর। চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এর মাঝে প্রথম রাউন্ডের খেলা চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সুপার-১২ পর্ব বা মূল আসর। বিসিবি ইতিমধ্যে জানিয়েছে, আইনি প্রক্রিয়ায় সাকিবের শাস্তি কমানোর চেষ্টা করবে।