১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বার্তা ডেস্ক :বরিশাল কোস্টগার্ডের মাঝি রফিকের খুটির জোড় কোথায় ? এমনটি প্রশ্ন উঠেছে জেলে পাড়ায়। সংবাদকর্মীদের কাছে হাতেনাতে অবৈধ কারেন্ট জালসহ রফিক ও তার সহযোগী সালাউদ্দিন ওরফে সালু ধরা খেয়ে নানা তদবিরে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানাযায়, বরিশাল জেলার বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কোস্টগার্ডের ভাটারখাল অফিসের পাবনা জাহাজ থেকে মাঝি রফিক ও তার দুইসহযোগী সালাউদ্দিন সালু কোস্টগার্ডের ডিউটি শেষ করে চরকাউয়া খেয়াঘাটে ট্রলার থামায় । তার কিছুক্ষন পর সালু একটি ছোট নৌকা নিয়ে ট্রলারে থাকা অবৈধ এক বস্তা কারেন্ট জাল নিয়ে চরকাউয়ার মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে । পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সালু ও রফিক ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরর্বতিতে সাংবাদিকরা তাদের ফলো করে চরকাউয়া খেয়াঘাটে যায় অনুসন্ধান করেন। পরে ওই ঘটনার মাছ ব্যবসায়ী শহিদুলকে জালসহ হাতেনাতে ধরে সাংবাদিকরা। তবে শহিদুল প্রথমে নিজেকে বাঁচাতে সাংবাদিকদের ম্যানেজে ব্যস্ত হয়ে পরেন। অভিযানের সময় ওই স্থানে কোস্টগার্ডের সাবেক ১মাঝি ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে শহিদুলের দোকান থেকে রফিকের দেয়া কারেন্ট জাল বের করা হয়। অপরদিকে শহিদুলের সাথে সাংবাদিদের কথাকাটাকাটি হলে এক পর্যায় তিনি রফিকের সহযোগী সালুর নাম বলে দেয়। যার পুরো ভিডিও ও অডিও তথ্য প্রমানসহ সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে। শহিদুলের কাছ থেকে স্বিকারউক্তি নেয়ার ১৫মিনিটের মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে ঘটনাস্থলে হাজির হন কোস্টগার্ড মাঝি রফিক । পরে সাংবাদিক ম্যানেজে প্রস্তাব দেয়। যার অডিও রেকড প্রমানিত রয়েছে।
তবে জেলেদের দাবি মাঝি রফিক জাল প্রতিদিনই বিক্রি করে। কিন্তু সে এত জাল কোথায় থেকে পায় ? এমনটি প্রশ্ন জেলে পাড়ায়। আর নানা অপরাধের সাথে জড়িত থেকেও গত সাড়ে ৪বছর যাবৎ কোস্টগার্ড মাঝি হিসাবে কর্মরত রয়েছে। তাছাড়া রফিক মাঝির সহকারী সালু ওরফে সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার স্বিকার করে বলেন, ভাই আমি জাল বিক্রি করি নাই। আমি রফিকের কর্মচারি। রফিক যেভাবে বলবে আমি সেভাবেই করেছি। শুধু শুধু আমার নাম আসছে।
একটি সূত্রে জানায়ায়, গত ৩ই জানুয়ারী একাধীক পত্রিকায় কোস্টগার্ডের নামে রফিক মাঝির চাঁজাবাজী শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে সাথে সাথে মাঝি রফিককে বহিস্কার করেন তৎকালীন কোস্টগার্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা (দক্ষিন) জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হামিদুল ইসলাম। বহিস্কারের কয়েক মাস পর রফিক অদৃশ্য এক ক্ষমতায় পুনরায় আবার কোস্টগার্ডে মাঝি হিসাবে নিয়োগ পায়। তবে রফিক মাঝি এমন অপকর্ম ধামাচাপা দিতে প্রশাসনের একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। বার বার অপরাধ করেও কোস্টগার্ডের মাঝি হিসাবে বহাল রয়েছে মাঝি রফিক।
এবিষয় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সহকারী পরিচালক (গোয়েন্দা) হামিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, কোস্টগার্ডের নাম ব্যবহার করে কেউ ফায়দা লুটবে সেটা হবে না। কারন বর্তমান সময় কোস্টগার্ড বিভিন্ন স্থানে ইমেজ নিয়ে কাজ করছেন। আর সেই ইমেজ নষ্ট করার জন্য মাঝিরা বা অন্য কোন অসাধু চক্রের সদস্য ক্ষুন্ন করবে সেটা হবে না। কেউ যদি কোস্টগার্ডের নাম ব্যবহার করে আর অবৈধ কাজের সাথে যুক্ত থাকে বা এরকম কাজের সাথে জড়িত থাকে তা হলে তাদের কে প্রশাসনের হাতে তুলে দিবে বলে সাধারন জনগনের কাছে আশাবাদী তিনি। আর সেই সাথে তিনি আরো বলেন, রফিকের বিষয়টি তদন্ত চলছে । সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।