২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে মাদক মামলার রায়ে অভিযুক্ত খালাস, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী নেতাদের নিয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা কে এম পি খালিশপুর থানা পুলিশের অভিযানে অনলাইন ডিজিটালাইজড প্রতারক চক্রের ২সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার। আজ থেকে ঢাকায় শুরু হল এশিয়া- প্যাসিফিক বধির দাবা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ “””””””””””””””” উদ্বোধন করলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ রিয়াজ হোসেন খান পিপিএম। এডিশনাল এসপি পদে পদোন্নতি পাওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বরিশাল জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা: কাদের বানারীপাড়ায় ১৩ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ লম্পট গ্রেফতার আজ আকাশে দেখা মিলবে গোলাপী চাঁদ এক রাতেই ৮০ বার কাঁপলো তাইওয়ান! চুয়াডাঙ্গায় সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি
‘আজানের সুর’ বাজানো হচ্ছে পুজা মন্ডপে।

‘আজানের সুর’ বাজানো হচ্ছে পুজা মন্ডপে।

ধর্ম ডেস্ক : দুর্গা পূজার মণ্ডপে বেজে উঠল আজানের সুর। আর এ নিয়ে শুরু হয়েছে পক্ষ-বিপক্ষ বিতর্ক-অভিযোগ-অসন্তোষ। কোনো ধর্ম কখনই অন্য কোনো ধর্মকে আঘাত করার কথা বলেনি। আয়োজকরা জানায়, এ ভাবনা থেকেই বেলেঘাটা ৩৩ পল্লীর দুর্গাপুজোর থিম তৈরি করা হয়েছে।

কলকাতা টাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকমের তথ্য মতে, এ পূজামণ্ডপে হিন্দু ছাড়াও অনেক ধর্মের রীতি-নীতি এবং ছবি ব্যবহার করেই সাজানো হয়েছে পূজামণ্ডপ। সেখানের একটি দৃশ্যে দেখা যায়, একটি বড় ছাতা। যার নিচে মন্দির-মসজিদ-গির্জা। আবার দুর্গা প্রতিমার হাতে দেয়া হয়নি কোনো অস্ত্র।

সাজানো-গোছানো পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। বিতর্ক বাধল তখনই যখন পূজামণ্ডপ থেকে ভেসে এলো আজানের সুর। কারণ এ পূজামণ্ডপে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সঙ্গে মিল রেখেই বানানো হয়েছিল থিম। এ সম্প্রীতি তুলে ধরতেই দুর্গা পূজার মণ্ডপে বাজানো হয়েছে আজান।

এরপরই নতুন নতুন বিতর্ক ও অভিযোগ শুরু হতে থাকে। অনেকের প্রশ্ন- হিন্দু ধর্মের দেবির পূজামণ্ডবে কেন আজান বাজানো হবে? দেবি দুর্গার হাত ১০টি বানানো হয়নি কেন? আবার দেবির হাতে অস্ত্র দেয়া হলো না কেন?

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাড়ছে পক্ষ-বিপক্ষ সমালোচনা ও ক্ষোভ। কেউ কেউ আবার মণ্ডপের থিম থেকে আজানের সুর বন্ধের জোর দাবি করছে।

ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের অভিযোগ পূজামণ্ডপের থিমে আজানের সুর সংযুক্ত করে হিন্দু ধর্ম বিশ্বাসের ওপর আঘাত করা হয়েছে। সমালোচকদের কথা হলো-

‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে এই নয় যে, সবাইকে সব ধর্ম গ্রহণ করে নিতে হবে। এটা পারস্পরিক সম্মানের বিষয়। তাদের প্রশ্ন- মসজিদ থেকে কখনও গায়ত্রী মন্ত্র বা মহিষাসুর মর্দিনী শোনা যায় কি?’

পূজামণ্ডপে আজানের সুর বাজানোয় মুসলিমরা যে খুশি হয়ে এমনটি নয়, বরং তারাও চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যেভাবে চরম ক্ষোভ, অভিযোগ ও সমালোচনা করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।

উল্লেখ্য যে, রিন্টু দাস নামের এক শিল্পী একান্ত নিজের খেয়ালখুশিতে এ থিম বানিয়েছেন। তার কথায়-
‘আমাদের থিমের বিষয় হচ্ছে যে- আমরা সবাই এক, কেউ একা নই। সাম্প্রদায়িকতা ভুলে সবাই যাতে সম্প্রীতির পথে চলি এ থিমের মাধ্যমে সবার কাছে সেই বার্তা পৌছে দেয়া। আর দুর্গা মায়ের হাতে অস্ত্র নেই। এর মানে হলো- সেটা যুদ্ধ ভুলে শান্তির বার্তা বহন করা।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019