১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ অপরাহ্ন, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের জনপ্রিয় নেতা ও এ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন অবশেষে নিজের ব্যাক্তিগত অবস্থান পরিস্কার করলেন। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানালেন তার রাজনৈতিক জীবনের ইতিবৃত্তান্তসহ জ্ঞাত প্রতিজ্ঞাতের অনেক অজানা তথ্য। ব্যক্তিগত জীবনে ব্যবসায়ী এ নেতা স্মৃতিচারণ করলেন গত দুই যুগ ধরে চলা যুব রাজনীতির অনেক সুখ দুঃখের।
সম্প্রতি ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান নিয়ে তার বিপক্ষে যেসব প্রচারণা হয়েছে সেগুলোর বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি। তার মতে, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকাটা স্বাভাবিক, তাই বলে হিংসাত্মক ও বিদ্বেষপূর্ণ তথ্য উপাত্ত দিয়ে একজনের ক্যারিয়ার ধ্বংসের যে চক্রান্ত তা কোনও সুস্থ্ মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়। এটা তিনি ঘৃণা করেন। প্রতিযোগিতা হবে নেতৃত্বের, দক্ষতার ও সর্বোপরি যোগ্যতার। সেখানে না গিয়ে মন্দ স্রোতে এবং গায়ে সহজেই কিছু কালিমা লাগিয়ে দিয়ে ‘ওভারকাম’ করার নীতিটাই হচ্ছে ভ্রষ্ট প্রতিযোগিতা। তিনি জোড় গলায় জানালেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য ভবিষ্যতে এ ধরণের চক্রান্ত প্রতিহত করার চেষ্টা করবো।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তার নিজের কি কোনও ক্যারিয়ার নেই? তিলে তিলে রাজপথ থেকে গড়ে উঠে আমরা আজ এ পর্যায়ে এসেছি। হালকা কিছু দিয়ে এটাকে মূল্যায়ন করা যাবে না। জোট সরকারের সময় অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। জেল খেটেছি, জুলুমের স্বীকার হয়েছি। অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। আজ এ পর্যায়ে এসে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগকে অন্য যে কোনও ইউনিট থেকে শক্তিশালী একটি পর্যায়ে নিয়ে গেছি। এটি এমনি এমনি হয়নি। এর পিছনে অনেক শ্রম ও মেধার বিনিয়োগ ছিল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি করি কোনও কিছু পাওয়ার বা ভোগের আশায় নয়। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। দল আজ দীর্ঘ দিন ক্ষমতায়, তাই হটাৎ সুবিধাভোগেীর মতো করে লাফিয়ে লাফিয়ে নেতা হইনি। তৃণমূল থেকে উঠে আজ এ পর্যায়ে এসেছি।
নিজের ব্যাক্তিগত সম্পদের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত নিয়ম কানুন মেনে আমি দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা বাণিজ্য করছি। আমি নির্মাণ সামগ্রীর একজন ব্যবসায়ী ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। আমি প্রতিবছর আয়কর প্রদান করি এবং সেখানে নিজের স্থাবর অস্থাবর সম্পতির যাবতীয় হিসাব প্রদান করি। সেই হিসেবের বাইরে আমার অন্য কোনও সম্পদ নাই।
যুবলীগের সম্মেলন বিষয়ে তিনি বলেন, সামনের মাসের যে কোনও সময়ে নগর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সম্মেলনের মুল উদ্দেশ্যই থাকবে, কোনওভাবে যাতে কোনও দূর্নীতিবাজ ও বির্তকিত ব্যাক্তি সংগঠনে প্রবেশ করতে না পারে। আমরা ইতোমধ্যে নগরীর ওযার্ডগুলোর সম্মেলন শেষ করেছি। অনেকগুলো ওযার্ডের কমিটি দেওয়া হয়েছে, আরো কিছু বাকী আছে, যা সহসায় দিয়ে দেওয়া হবে। ওয়ার্ডগুলোর নেতৃত্ব নির্বাচনেও আমরা অধিক সতর্কতার সাথে কাজ করছি। যাতে বিতর্কিত কোনও বিষয় ঢুকে না যায়