২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি:
বরিশালের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী ঘোষণা করলেও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ–মুলাদী) আসনে এখনো নীরব বিএনপি। এর ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা আর জল্পনা-কল্পনার ঝড়। স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন—এই দুর্গখ্যাত আসনে কি আসছে নতুন কোনো চমক? নাকি জোটের জন্য আসনটি খালি রেখেছে বিএনপি?
গত ৩ নভেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। সেখানেই বরিশাল-৩ আসনটি শূন্য রেখে আলোচনার নতুন দ্বার খুলে দেয় দলের হাইকমান্ড।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা কিছুটা হতাশ হলেও এখনো আশাবাদী। তাদের বিশ্বাস—এই আসনে বিএনপি যাকেই মনোনয়ন দেবে, তিনি হবেন বিজয়ী। এ আসনে চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশী আলোচনায় রয়েছেন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ ও বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার খান।
এই চারজনের মধ্যে বেগম সেলিমা রহমান, ব্যারিস্টার আসাদ এবং আব্দুস সাত্তার খান—একই মঞ্চে একাধিক সভা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে জোর দিচ্ছেন রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন দলীয় সভা সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রচারণায় সক্রিয় রয়েছেন।তৃণমূলে বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদের জনপ্রিয়তা নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেশোরে। তরুণদের দাবি—দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে তারা মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, এবং হাই কমান্ডের সিদ্ধান্তেই তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। বলে জানিয়েছেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, “দলের হাইকমান্ড যা ভালো মনে করবে, সেটাই আমরা মেনে নেব। খুব শিগগিরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”
এদিকে বিএনপির নীরবতার সুযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো ইতোমধ্যেই মাঠ দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সক্রিয়ভাবে প্রচারণা করছেন ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম ফারদিন ইয়ামিন এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা—দুই হেভিওয়েট নেতার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড আসনটি হয়তো জোটের প্রার্থী হিসেবে (এবি) পার্টির ব্যারিস্টার ফুয়াদের জন্য রেখে দিতে পারে। আবার অনেকেই মনে করছেন, বরিশাল-৩ থেকে তরুণ নেতৃত্বকে দিয়ে বিএনপি নতুন এক চমক দেখাতেও পারে।
বরিশাল-৩ আসনে কে হচ্ছেন বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী—সে প্রশ্নের উত্তর জানতে এখন সবার চোখ দলের হাইকমান্ডের দিকে।
#