১৭ মে ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বাবুগঞ্জে ইউপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ১৫ টি ল্যাপটপ চুরি তিন লাখ রেনু পোনা জব্দ, ৯ জেলে আটক বরিশালের হিজলা ও মুলাদীতে। চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহের উদ্বোধন বিদেশ ফেরত আগৈলঝাড়ার দুই যুবকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি চাঁদা’ হিসেবে লুঙ্গি দাবি, ওসিকে বদলি! বাবুগঞ্জে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়তেই এ সফর: ডোনাল্ড লু বরিশালে যৌন হয়রানির দায়ে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের মামলা ঝালকাঠি পৌর মিনিপার্ক এলাকায় পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের অভিযান মোটরসাইকেলে মামলা চুয়াডাঙ্গায় ২ দিন ব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধন
ইসরায়েলের হামলায় হামাস প্রধানের তিন ছেলে নিহত

ইসরায়েলের হামলায় হামাস প্রধানের তিন ছেলে নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ঈসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় তার নাতি-নাতনিও প্রাণ হারিয়েছেন।

বার্তাসংস্থা সাবাব নিউজ এজেন্সি বুধবার (১০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, হানিয়ার ছেলেদের লক্ষ্য করে, আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন গাজার উত্তরপূর্বাঞ্চলের শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়।

ছেলে ও নাতি-নাতনিদের মৃত্যুর বিষয়টি আলজাজিরাকে নিশ্চিত করেছেন হানিয়া নিজে। সংবাদমাধ্যমটিকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় কয়েকজন নাতি-নাতনিসহ তার তিন ছেলে হাজেম, আমির এবং মোহাম্মদ প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে সন্তানদের মৃত্যুতে বিচলিত হননি হামাস প্রধান। আলজাজিরাকে তিনি বলেছেন, “শহীদদের রক্ত এবং আহতদের যন্ত্রণার মাধ্যমে আমরা আশা তৈরি করি, আমরা ভবিষ্যৎ তৈরি করি, আমরা আমাদের মানুষ ও জাতির জন্য স্বাধীনতা ও মুক্তি তৈরি করি।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তার ছেলেরা। ওই সময় হামলা চালানো হয়।

হামাস প্রধান দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, নেতাদের বাড়িঘর ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে হামাসকে থামানো যাবে না।

তিনি বলেছেন, “কোনো সন্দেহ নেই এই শত্রুরা প্রতিশোধ, হত্যা এবং রক্তপাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে এবং তারা কোনো আইন মানেনা। হানিয়া জানিয়েছেন, চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত তার পরিবারের ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন।

হামাস প্রধান আরও জানিয়েছেন, তার ছেলেদের হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধের গতিপথ বদলাবে না এবং হামাস যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে একটুও সরে আসবে না।

তিনি বলেছেন, “যদি তারা মনে করে আমাদের সন্তানদের লক্ষ্য করার মাধ্যমে এই মুহূর্তে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে, তাহলে তারা ভ্রান্তিতে আছে।”

“ফিলিস্তিনের সন্তানদের চেয়ে আমার সন্তানদের রক্তের মূল্য বেশি নয়। ফিলিস্তিনের সকল শহীদ আমার সন্তান।” যোগ করেন হানিয়া।

গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আল শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে হানিয়ার ছেলেরা নিহত হয়েছেন। সেখানে বেসামরিকদের বহনকারী একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান থেকে হামলা চালানো হয়।

ঈসমাইল হানিয়ার পরিবার-পরিজন গাজাতে থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তিনি কাতারে বসবাস করেন। সেখান থেকেই দলটির সব কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি।

সূত্র: আলজাজিরা

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019