১৯ মে ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখালীতে ফোন চাওয়ায় মায়ের বকাঝকা, এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আগৈলঝাড়ায় শুক্রবার রাতে স্কুল ছাত্রী ও গৃহবধুর আত্মহত্যা বরিশাল নগরী বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনমূলক অভিযান বাবুগঞ্জে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা মামলায় কারাগারে মাদরাসা সুপার চাঁদপাশায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত রিকশাচালককে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া সেই পুলিশ সদস্য ক্লোজড বরিশালে স্বামীর জমানো টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী তেঁতুলিয়া হাসপাতালে অকেজো মালামাল টেন্ডারে ঘাবলা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তেলের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তেলের দাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
খনি থেকে তেলের দৈনিক উত্তোলন হ্রাসের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস, তার সুফল পেতে শুরু করেছে জোটভুক্ত দেশগুলো। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উভয় বেঞ্চমার্ক – ব্রেন্ট ক্রুড এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম বেড়েছে ২ শতাংশ বা তারও বেশি।

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার প্রতি ব্যারেল (১৫৯ লিটার) ব্রেন্ট ক্রুড বিক্রি হয়েছে ৮৩ দশমিক ৫৫ ডলারে এবং প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৭৯ দশমিক ৯৭ ডলারে। শতকরা হিসেবে আগের দিন বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রতি ব্যারেলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়েছে ২ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়েছে ২ দশমকি ১০ শতাংশ।

জ্বালানি তেলের বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো চলমান অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দৈনিক উৎপাদন হ্রাসের জেরেই ফের চাঙা ভাব এসেছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজারে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাজার পর্যবেক্ষণ সংস্থা এমইউএফজির কমোডিটি, ইসিজি এবং ইমার্জিং মার্কেট বিভাগের প্রধান এহসান খোমান রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘করোনা মহামারির ২ বছর এবং তার পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ডলারের দাম হু হু করে বাড়ছিল; ফলে বিশ্বজুড়ে মৃদু ধরনের মন্দা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এবং তার প্রভাব পড়েছিল তেলের বাজারে।’

‘এই পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ওপেক প্লাস তেলের উত্তোলন হ্রাসের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা সময়োপযোগী ছিল। কারণ তেলের বাজার চাঙা থাকলে অর্থনীতি ও অন্যান্য বাজারেও তার প্রভাব পড়বে।’

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। ফলে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম কয়েক মাসে হু হু করে বাড়ছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বা পেট্রোলিয়ামের দাম।

কিন্তু একই সঙ্গে ডলারের দামও বাড়তে থাকায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জ্বালানি তেল ক্রয় কমিয়ে দেয়। ফলে তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হয় এবং লোকসানের শিকার হতে থাকে তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশগুলো।

এ পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম তেলের উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত জানায় ওপেক প্লাসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাষ্ট্র রাশিয়া। সে সময় এক বিবৃতিতে রাশিয়া বলেছিল, এখন থেকে প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করবে দেশটি।

রাশিয়া এই ঘোষণা দেওয়ার এক মাস পর নিজেদের দৈনিক তেলের উত্তোলন ১ কোটি ব্যারেল থেকে ৯০ লাখে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয় জোটের নেতৃস্থানীয় সদস্য সৌদি আরবের জ্বালানি তেল বিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত ডিসেম্বরে ওপেক প্লাস জানিয়েছে, বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার আগ পর্যন্ত দৈনিক তেলের উত্তোলন আর বাড়ানো হবে না।

সূত্র : রয়টার্স, দ্য ন্যাশনাল

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019