আজকের ক্রাইম ডেক্স: ভৈরবে মামার বাসায় বেড়াতে এসে ভাগ্নি মারিয়া বেগমের আবদার ছিল মেঘনা নদী ভ্রমণের। ভাগ্নির আবদার রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৪) গতকাল শুক্রবার বিকালে স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (২৬), মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭), ছেলে রাইসুল (৫) ও তার ভাগ্নি মারিয়াকে (১৬) নিয়ে ভৈরব মেঘনা পাড়ে নদী ভ্রমণে যান।
কিন্তু ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হন সোহেল রানাসহ তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। তবে বেঁচে গেছে তার ভাগ্নি। দুর্ঘটনার সময় সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠে প্রাণ বাঁচিয়েছে ভাগ্নি মারিয়া। ভৈরব হাইওয়ে থানায় কর্মরত ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা। গত এক বছর আগে এই থানায় পদায়ন হয়েছিলেন। পরিবারসহ বাসা নিয়ে ভৈরবে থাকতেন। তার বাড়ি কুমিল্লার ব্রাক্ষণপাড়া এলাকায়।
ধারণা করা হচ্ছে, তারা চারজনই নদীতে ডুবে মারা গেছেন। এ ঘটনায় সোহেল রানার পরিবারসহ আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মো. সাজু মিয়া জানান, সোহেল খুব ভালো ছেলে ছিল। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাদের এ অবস্থা হবে কেউ ভাবেনি। এখন তো সোহেলসহ তার পরিবারের কেউ বেঁচে রইল না।
এখন সোহেলসহ নিখোঁজদের লাশগুলো পাওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। ভৈরব নৌ থানার ইনচার্জ মো. মনির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনার পর রাতে অন্ধকার থাকায় উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ শনিবার ভোর থেকে উদ্ধারকাজ চলছে। তবে এখনো ভ্রমণতরী ও নিখোঁজদের সন্ধান নদীতে পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2024 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.