০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:২৮ অপরাহ্ন, ৭ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার দর্শনার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী তাহমিদ খন্দকার আরাবী (১০)। বর্তমানে বিরল ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। দূরারোগ্য জটিল ‘ইমিউন ডিজরেগুলেশন উইথ সিসটেমিক হাইপার ইনফ্লামেশন সিনড্রোম’ ব্যাধির একমাত্র চিকিৎসা অস্তিমজ্জা প্রতিস্থাপন। ছোট্ট শিশুর এমন কঠিন অবস্থায় গোটা পরিবার দিশেহারা। অনিশ্চয়তার ভর করেছে চিকিৎসার ব্যায় ভার বহনে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সাহায্যের হাতই হতে পারে তাকে সুস্থ্য করতে। টানা দেড় বছরের বেশী সময় ধরে বাংলাদেশ ও ভারতে বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করে সহায় সম্বল বিক্রি, সঞ্চিত টাকা ও ধারদেনা করে অবশেষে ১৩ লাখ টাকা রোগ সনাক্তের ব্যয় হলেও চিকিৎসা ব্যায়ের কথা শুনে পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বিছানাগত শিশু আরাবী আবার সুস্থ হতে চায়, ফিরতে চায় বিদ্যালয়ে, খেলতে চায় সাথীদের সাথে। দর্শনা পৌর শহরের মোবারকপাড়ার পেয়ারী খানম ও মনির খন্দকার দম্পতির ছোট মেয়ে শিশু আরাবী। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মায়ের ছোট মেয়ে আরাবী। আরাবীর বাবা-মা বলেন, বছর দুই আগেও মেয়ে পড়াশুনায় ছিল মনোযোগী। পুরোপুরি সুস্থ সবল ও দূরন্ত আরাবীর জীবনে কাল হয়ে আসে এক সময়ের জ্বর। দীর্ঘদিনের জ্বরে দুর্বল হয়ে পড়ে আরাবীর শরীর। দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করিয়ে কোন ফল মেলেনি। সহায় সম্বল হারিয়েও রোগ শনাক্তে ব্যর্থ হয় পরিবার। পরে ছয় দফায় ভারতে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিরল এ রোগের উপস্থিতি মেলে শিশু আরাবীর শরীরে। যার একমাত্র চিকিৎসা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান।এখন তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ৮০ লাখ টাকা। যা বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভবই নয়। আরাবীর মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার মেয়ে হাসি খুশিতে ভরা, দূরন্ত চঞ্চল মেধাবী ।আরাবী বলেছে, আবারও ফিরতে চাই স্কুলে, নিয়মিত হতে চাই পড়ালেখায়,সবার সাথে হাসতে চই, নতুন করে বাচতে চাই। মেয়েকে বাচাতে আরাবীর বাবা-মা দেশে বিদেশে সকল পেশার মানুষের কাছে সহযোগীতার অনুরোধ করেছেন।