মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদঘোড়াঘাট (দিনাজপুর)
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ফারহানা আক্তার চুমকি (৩৫) হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেফতর করা হয়েছে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার দুই সহযোগীকে।
পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে সম্মানহানি হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে চুমকিকে হত্যা করেছে তার দ্বিতীয় স্বামী আব্দুর রাজ্জাক (৫০)।
নিহত ফারজানা আকতার চুমকিজয়পুরহাট সদর উপজেলার মধ্যদড়িপাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।
৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘নিহত চুমকির প্রথম স্বামীর সাথে সংসার চলা অবস্থায় ২০২২ সালে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ৮নং আওলাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং চুমকি তার প্রথম স্বামী এজাজুল হক ওরফে সনিকে তালাক দিয়ে ওই চেয়ারম্যানকে বিয়ে করে।
চুমকিকে বিয়ে করায় সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে থাকে আব্দুর রাজ্জাক। সে কারণেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চুমকিকে বিয়ের কথা বলে ঘোড়াঘাটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান রাজ্জাক।
চুমকি তার কথায় রাজী হওয়ায় গত ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার চুমকিকে পাঁচবিবি উপজেলা থেকে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে করে নিয়ে আসে গাড়িটির চালক এমদাদুল।
এরপর পৃথক পৃথক জায়গা থেকে হত্যাকারী চেয়ারম্যান এবং তার সহযোগীরা গাড়িতে উঠে। তারািএ সময় চুমকিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার এলাকায় নিয়ে আসে এবং গাড়ীর মধ্যেই গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে চুমকিকে হত্যা করে।
এরপর চুমকিকে খারাপ মেয়ে বলে আখ্যায়িত করতে কথিত পতিতা এলাকা মোজামের আম বাগানে চুমকির লাশ ফেলে রেখে চলে যায় তারা।
গ্রেফতারকৃত তিন আসামীকে বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিনজন হলেন, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ৮নং আওলাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক (৫০) এবং তার সহযোগী একই উপজেলার বয়রা-ছাতিনালী গ্রামের মৃত মালেক মন্ডলের ছেলে এমদাদুল হক (৪৮) ও মাইক্রোচালক দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মরিচা গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে এমদাদুল হক (৪৫)।
এরআগে ঘোড়াঘাট উপজেলার ১নং বুলাকীপুর ইউনিয়নের কালুপাড়া এলাকায় মোজামের আম বাগানে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। পরে তার পরিচয় শনাক্ত হলে নিহতের বাবা মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা করে। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ বিভিন্ন জেলা থেকে হত্যায় জড়িত চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগীদেরকে আটক করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2025 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.