আজকের ক্রাইম ডেক্স
চিকিৎসা শিক্ষায় আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত ও স্বীকৃতি পেতে আইন করছে সরকার। এ জন্য ‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন আইন’ ২০২১ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২১-এর খসড়ারও নীতিগত অনুমোদন মিলেছে। ফলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মিথ্যা উপাধি ব্যবহার করলে তাকে জেল-জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে।
রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের (ডব্লিউএফএমই) যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নত বিশ্বে চিকিৎসাবিদ্যার স্বীকৃতি অর্জন করতে হলে প্রতিটি দেশে একটি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেবে। এটি না থাকলে এ দেশ থেকে কেউ এমবিবিএস পাস করলেও সে বাইরে পড়াশোনা করতে যেতে পারবে না, অন্য কোনো দেশে ডাক্তার হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে যেসব দেশ স্বাধীন অ্যাক্রেডিটেশন কমিশনের মাধ্যমে চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বীকৃতি দেবে না, সেসব দেশের চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রিধারী চিকিৎসকরা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় উচ্চশিক্ষা প্রশিক্ষণ গ্রহণ কিংবা পেশাগত কাজ করার সুযোগ পাবে না। নতুন আইনের অধীনে পরিচালিত অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল দেশীয় স্বীকৃতির নীতিমালাসহ যাবতীয় বিষয় দেখভাল করবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপ করে অ্যাক্রেডিটেশনের শর্ত ঠিক করতে হবে।
ফলো করুন-
ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনে সায়: মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেশে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা ১৯৮৩ সালের একটি অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী চলছিল। এটিকে আইনে পরিণত করা হচ্ছে। এতে ৫০টি ধারা রয়েছে। আইনে ঢাকায় একটি আয়ুর্বেদিক বোর্ড থাকার কথা বলা হয়েছে। এই বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে দেশের যে কোনো স্থানে শাখা করা যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনে কিছু সাজার বিধানও রাখা হয়েছে। কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মিথ্যা উপাধি ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ডিগ্রির অনুকরণ করলে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে। অনুমোদনহীন ওষুধের প্রেসক্রিপশন দিলেও এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে। খসড়া আইন অনুযায়ী মেডিকেল কাউন্সিলের মতো একটি কাউন্সিল থাকবে। তারা একাডেমিক বিষয়গুলো দেখবে।
মালদ্বীপের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি: মালদ্বীপের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি করতে প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালদ্বীপ সফরে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিগগির মালদ্বীপ সফরে যাবেন; সেখানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
তিনি জানান, মালদ্বীপের কারাগারে ৪৩ জন সাজাপ্রাপ্ত এবং ৪০ জন বিচারাধীন বাংলাদেশি বন্দি আছেন। তবে বাংলাদেশের কারাগারে মালদ্বীপের কেউ বন্দি নেই। বন্দিবিনিময় চুক্তি হলে মালদ্বীপে কোনো বাংলাদেশি বন্দি থাকলে তারা তাদের এ দেশে নিয়ে আসার অনুরোধ করতে পারবে মালে। আবার বাংলাদেশও তাদের পাঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করতে পারবে। বন্দি নিজেও দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার আবেদন করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক পাঠানোর বিষয়েও একটি চুক্তি হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2025 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.