ভোলা প্রতিনিধি: ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ইলিশা গ্রামে গত ৯ সেপ্টেম্বর অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
ভিক্টিমের ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়ার পর ঘটনার দিন বিকেলেই ওই ছাত্রীর মা ভোলা সদর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় একই উপজেলা পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের কাশেম কারীর ছেলে আনোয়ার আব্বাসকে আসামি করা হয়েছে। যাঁর মামলা নম্বর ১৬/২১
কিন্তু মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখনো ধর্ষক আনোয়ার আব্বাসকে আটক করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। যা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রাত কাটাচ্ছেন ভিক্টিমের পরিবার।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ভিক্টিমের পরিবার সাংবাদিকদের জানান, মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখনো আসামি আনোয়ার আব্বাসকে আটক করতে পারছে না পুলিশ। যা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন ভিক্টিমের পরিবার। আসামি ধরতে পুলিশ গড়িমসি করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
ভিক্টিমের পরিবার আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার পর মামলা দায়ের হলে আসামির পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসা হতে ভিক্টিমের পরিবারকে বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছে। যাঁর কারনে ভিক্টিমের পরিবার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
ভিক্টিমের আরও জানান, আসামি আনোয়ার আব্বাসকে ধরিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে পারলে উক্ত ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে আটটার দিকে আসামি আনোয়ার আব্বাস ওই ছাত্রীর ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেন এবং বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ভিক্টিমের হাতমুখ চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
মামলা দায়েরের পরেও আসামি ধরতে পুলিশের গড়িমসির বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন জানান, আসামি আনোয়ার আব্বাস ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব দ্রুতই তাকে আটক করা সম্ভব হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2024 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.