সিলেট প্রতিনিধি: সিলেট জেলার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বৈশা বিল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরন গ্রাম এলাকায় হাওরে বৈশা বিল নামের একটি জলমহাল রয়েছে। বিলটি এক সময় সরকার লীজ দিলেও গত কয়েক বছর ধরে লীজ প্রদান করা হচ্ছে না। এ সুযোগে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিলের মাছ আহরণ করছে। এবার বিল শুকিয়ে মাছ ধরার জন্য পানির মেশিন বসানো হয়। এতে বিলের পানি কমে যাওয়ায় বিল পাড়ে থাকা বোরো জমিগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।
এ ঘটনায় বাগময়না গ্রামের ছানু মিয়া নামের এক কৃষক জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আমার মালিকানা জমির নিকটবর্তী সরকারি জলমহাল বৈশা ও চাতল বিল রয়েছে। বাউধরন গ্রামের প্রভাবশালী সজ্জাদ খাঁ ও তার ছেলে হবিব খাঁ, ছমরু মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়া ও খাগাউড়া গ্রামের সাবাজ উল্লার ছেলে গোলাপ মিয়া সহ ১০/১৫ জন লোক জোরপূর্বক ৫টি সেচ মেশিন দিয়ে জলমহাল গুলো শুকিয়ে নিচ্ছে। এতে আমাদের বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
রোববার সরজমিনে দেখা যায়, বিল সেচ চলছে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই অনিক চন্দ্র দেবের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সজ্জাদ খাঁ সহ তার লোকজন জানান, বিদ্যাভূষন নামের এক ব্যক্তির হয়ে তারা বিল ফিশিং করছেন। তবে বিদ্যাভূষন চন্দ্র জানান, এ বিলের জমির মালিকানা নিয়ে উচ্চ আদালতে আমার মামলা চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলার কারণে বিলটি সরকার লীজ না দেয়ায় আমি ফিশিং করছি। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, বিলের পানি সেচ বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2024 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.