অনলাইন ডেস্ক
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রাম। গ্রামে প্রবেশ করতে গেলে আপনাকে স্বাগত জানাবে শ্বেতপাথরের তৈরি বিশাল প্রাসাদ। আপনার মনে হতে পারে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।
প্রতিদিন শত শত দর্শক দেখতে যান ওই অট্টালিকা। দর্শকদের জন্য সেখানে গড়ে উঠছে হোটেল-মোটেল। বাড়ি ঘিরে ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে পর্যটন এলাকা। ফলে বাড়ির মালিক কে বা কিভাবে তৈরি হলো বাড়ি তা নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে।
জানা গেছে, ওই ভবনটি পাশে আরেকটি সুদর্শন ভবন রয়েছে। বাড়ি দু’টিতে বসবাস করেন মাত্র ১ জন ব্যক্তি। তবে তিনি বাড়ির মালিক নন। কেয়ারটেকার হিসেবে রাখা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
স্থানীয়রা জানান, ১২ বছর ধরে এ বাড়ি দু‘টি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে খরচ করা হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা! ২০০৬ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০১৮ সালে।
বাড়ি দু’টির মালিকের নাম সাখাওয়াত হোসেন টুটুল। গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে তিনি। টুটুল এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারাবাসে রয়েছেন। তবে এতো টাকা টুটুল কোথায় পেয়েছেন তা কেউ বলতে পারেনি।
২০০৬ সালে হঠাৎ করেই পৈতৃক টিনের বাড়ির পাশে প্রায় ১০ বিঘা জমির উপর বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন টুটুল। পাশাপাশি দু’টি বিল্ডিং তৈরি করেন তিনি। এর বাইরের দেয়াল ও সীমানা প্রাচীরে শ্বেতপাথর ব্যবহার করা হয়েছে।
বাড়িটির দরজা-জানালায় দামি কাঠ, প্রাচীন নকশা খোদাই ও প্রতিটি ঘরেই লাগানো হয়েছে এয়ার কন্ডিশনার। ভেতরে ঢুকলে মনে হবে কোনো ফাইভ স্টার হোটেল বা তার চেয়েও বেশি।
বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জয়ন্ত কুমার জানান, অপরিচিত লোকজনকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিতে কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে।
টুটুলের বড় ভাই ফজলুল বারি জানান, এই বাড়ির কারণেই টুটুলকে জেলে যেতে হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2025 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.