অনলাইন ডেস্ক
কাবা শরিফকে ‘ভাস্কর্য’ বলা সেই হাফেজ ক্ষমা চাইলেন
পবিত্র কাবা শরিফকে ‘ভাস্কর্য’ বলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান।
অবশেষে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি ক্ষমা চান। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দাবি করেন, মুখ ফসকে কথাটি বের হয়ে গেছে। আর তা নিয়ে লোকজন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
জিয়াউল হাসানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি তুলে ধরা হলো- একজন প্রেমিক তার প্রেমাস্পদের বাড়ির চতুর্দিকে একঝলক দৃষ্টি পাওয়ার জন্য যেভাবে ঘোরে ঠিক তেমনি পবিত্র কাবা শরিফের চতুর্দিকে আল্লাহ তা’লার সুদৃষ্টিলাভের আশায় মুসলিমরা তাওয়াফ করে থাকেন। তওয়াফের আগে ও পরে সুযোগ পেলে তারা কালো পাথরকে চুম্বন করে থাকেন। কালো পাথর বাহ্যিকভাবে নিছক একটি পাথর। কিন্তু বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই কালো পাথরকে চুমু দিয়েছিলেন বলে আমরাও এই কালো পাথরকে চুমু দিতে উদগ্রীব থাকি। হজরত ওমর (রা.) বলেছিলেন, আমি জানি তুমি নিছক একটি পাথর, আমি কখনই তোমাকে চুম্বন করতাম না, যদি আমি রসুল (সা.)-কে না দেখতাম তোমাকে চুম্বন দিতে।
এই বিষয়টাকে তুলে ধরতে গিয়ে আমি চার বছর আগে একটি টেলিভিশনের টকশোতে মুখ ফসকে কাবা শরিফকে ভাস্কর্য বলে ফেলেছিলাম। বলার উদ্দেশ্য ছিল ইট-পাথরের তৈরি হলেও এগুলো আল্লাহ এবং রসুল (সা.) কর্তৃক স্বীকৃত বিধায় আমাদের নিকট পবিত্র ও সম্মানিত। আল্লাহ এবং তার রসুল (সা.) কর্তৃক স্বীকৃত না হলে সোনায় মোড়ানো বা হাজার কোটি টাকার হীরা মুসলমানদের দৃষ্টিতে সম্মানিতও নয়, পবিত্রও নয়।
চার বছর আগে আমার মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া কথাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সমস্ত অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানাই। চার বছর পর আমার মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া শব্দ বা বাক্যকে নিয়ে একটি কুচক্রী মহল এখন কেন বিষোদ্গার করার চেষ্টা করছে তা এ দেশের সুশীল সমাজ বা নাগরিকরা ভালোই বোঝেন। ইসলাম ধর্মে মূর্তি পূজার যেমন স্থান নেই, তেমনি পাথর পূজারও কোনও স্থান নেই। এটি আমরা সকল মুসলমান মাত্রই জানি।
এরপরও হাজরে আসওয়াদ পাথর হওয়া সত্ত্বেও আমাদের কাছে এটি বিশেষ সম্মানের স্থান দখল করে আছে। এর কারণ কী? কারণ হল আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এটাকে চুমু খেয়েছেন ও সম্মান করেছেন। তথাপি মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে আমার কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন সেজন্য আন্তরিকভাবে আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।
এর আগে বুধবার ইসলাম ধর্ম নিয়ে অপব্যাখ্যার অভিযোগে সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আরিফুর রহমান নামের এক সাংবাদিক।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. শামীম জানান, বৃহস্পতিবার বাদী আদালতে জবানবন্দি দিলে বিচারক পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2024 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.