অনলাইন ডেস্ক :: একাধিক খুনের ঘটনায় বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনা ঘটার পরই কেবল নড়েচড়ে বসে সরকার থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বিলাসবহুল বিশালাকার লঞ্চও এর ব্যতিক্রম নয়। একে একে ছ’টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতার জন্য লঞ্চ মালিকদের দায়ী করছে বরিশালবাসী। দ্রুত যাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
সবশেষ গত ১৭ নভেম্বর বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের সুন্দরবন-১১ লঞ্চের ছাদে শামীম নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয়। ঘটনার দু সপ্তাহ পরেও ঘাতককে খুঁজে পায়নি আইনশৃংখলা বাহিনী। শামীম নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। তার বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার জামুরা।
চুক্তিতেও লঞ্চে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। ২০১৬ সালের ১৬আগস্ট ঢাকা থেকে বরিশালগামী পারাবত-১০ লঞ্চের স্টাফ কেবিনে গৃহবধূ মিনা আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আটক নিহতের স্বামীসহ তিন জন ৩০ হাজার টাকায় হত্যার কথা স্বীকার করে। ১৪ সেপ্টেম্বর পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনে এক নারীকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে কথিত প্রেমিক।
শুধু বাণিজ্যকে গুরুত্ব না দিয়ে যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিআইডব্লিউটিএ ও মালিক পক্ষের সমন্বয় জরুরি। এ নিয়ে তালবাহানা হলে আন্দোলনে নামবে যাত্রী স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ। যাত্রী নিরাপত্তায় সরকারি বেতনে আনসার নিয়োগ চায় লঞ্চ মালিক সমিতি। তবে, খাবার ও বাসস্থান দেবে তারা। লঞ্চে যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
২০১৯ সালের ৩জুন ঢাকা-ভান্ডারিয়া রুটের এমভি ফারহান-১০ লঞ্চ থেকে এফডিসির শুটিং সহকারি সাদ্দাম এবং ঢাকা-কালাইয়া রুটের পারাবত-১৪ থেকে রুবেল গাজীকে নদীতে ফেলে হত্যা করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2025 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.