আজকের ক্রাইম ডেক্স:: অন্তুরের কোন দোষ ছিলোনা, ভুল সব আমার এই ছিলো। আমার আর ভালো লাগেনা এই পৃথিবী। চিরকুটে এ কথা লিখে আত্মহত্যা করেছেন শচীন চন্দ্র দে নামের এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র। সোমবার সন্ধ্যায় ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাহিন্দ্র মাস্টার বাড়ির তার নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে দৌলতখান থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা সংগীয় ফোর্সসহ মরদেহ থানায় এনে সুরতহাল লিপিবদ্ধ করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। এসময় পুলিশ নিহতের নিজ কক্ষ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, এঘটনায় একটি অপমৃত মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের সুরতহাল লিপিবদ্ধ করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট আসারপর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে আমরা নিহতের নিজ কক্ষ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছি। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যেতে পারে এটা প্রেম ঘটিত মৃত্যু। নিহত শচীন চন্দ্র দে ওই ওয়ার্ডের নিতাই চন্দ্র লক্ষীতের ছেলে। তিনি ভোলা সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
এদিকে পুলিশের উদ্ধারকৃত চিরকুটে লিখা ছিলো, অন্তুর কোন দোষ ছিলোনা, ভুল সব আমার এই ছিলো। আমার আর ভালো লাগেনা এই পৃথিবী। এক বিন্দু ও বাচতে ইচ্ছে করে না আর, ওই খানে থাকতে। এই পৃথিবীতে সত্যি কারএর ভালোবাসার কোন মূল্য নেই। আমি চলে যাচ্ছি।
নিহতের বোন মৌসুমী জানান, সোমবার দুপুরে শচীন চন্দ্র দে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে তার কক্ষে শুয়ে থাকে। এসময় আমি ঘরের অন্যকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ি। মা রান্নাবান্নার কাজে মুশগুল ছিলো। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ শচীনের কক্ষ থেকে গোঙানির শব্দ পায় মা। পরে কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করে তাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দেই।
আমাদের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2025 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.