১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৮ অপরাহ্ন, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক:: এক যুবকের বিরুদ্ধে প্রেমের সম্পর্ক ও বিবাহের প্রলোভন দেখি ধর্ষণ মামলা করেছেন স্থানীয় যুব মহিলা লীগ নেত্রী নাসিমা আক্তার ওরফে নাসরিন। বুধবার (০৪ মার্চ) ওই মামলা করার পর সামাজিকমাধ্যমে নাসরিনের বিরুদ্ধে নানা তথ্য প্রকাশ হচ্ছে। শুক্রবার (০৬ মার্চ) তার একত্রে দুই স্বামীর সংসার করার তথ্য প্রমাণ ও ফেনসিডিল খাওয়ার ছবি ভাইরাল হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে টঙ্গির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমসহ জাতীয় পর্যায়ের একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের প্রথম সারির অন্তত দুটি সংবাদপত্রের অনলাইনেও খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
ওইসব খবরে বলা হয়েছে, টঙ্গীর ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত যুব মহিলা লীগ নেত্রী একই সাথে দুই স্বামীর সংসার করতেন। গত বুধবার রাতে দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দিলেও এখনো কারোর সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়নি।
খবরে বলা হয়েছে, মামলার আর্জিতে তিনি দ্বিতীয় স্বামীকে তার প্রেমিক বলে দাবি করেছেন। একটানা দীর্ঘ দশ বছর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তাকে বিবাহ করার আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করা হতো বলে তিনি মামলার আর্জিতে দাবি করেন।
কিন্তু স্থানীয় এক সাংবাদিক নাসরিনের ঘটনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দেয় বলে খবরে উল্লেখ করে বলা হেয়ছে, ওই সাংবাদিক নিজের ফেসবুক পেজে ওই নেত্রীর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বিবাহের হলফনামা প্রকাশ করে। এতে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
বুধবার পরকীয়া প্রেমিকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিনব অভিযোগে থানায় মামলা দিয়ে আলোচনায় আসেন ওই নেত্রী। টঙ্গী পূর্ব থানায় দায়েরকৃত আলোচিত ধর্ষণ মামলার (নং-১১) প্রধান আসামি স্থানীয় ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদের প্রার্থী আলী আসগর। মামলার বাদী আলোচিত নেত্রী নাসিমা আক্তার ওরফে নাসরিন স্থানীয় একজন যুবলীগ নেতার স্ত্রীর সাথে ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের সভাপতি পদে লড়ছেন।
এদিকে ফাঁস হওয়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নাসরিন একটি রাজকীয় খাটে বসে ফেনসিডিল খাচ্ছেন। আরেকটি ছবিতে তাকে একজন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগ নেত্রীর সাথে সেলফি তুলতে দেখা গেছে।
ফাঁস হওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, নাসিমা ও তার পরকীয়া প্রেমিক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলী আসগর বিগত ২০১৬ সালের ২৪ জুন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিবাহের হলফনামা সম্পাদন করেন।
এ বিষয়ে নাসিমা আক্তার নাসরিনের বক্তব্য নেয়ার জন্য সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে শুক্রবার (০৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।