ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃধান চাষ করে কৃষক প্রতি বছর লোকসানের মুখোমুখি হওয়ায় এবার ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষক।
আমন ধান চাষ করেও এ মওসুমে কোন কোন কৃষক তার ধানের চাষে লাগানো পুজি দাড় করতে পারনি।
এবার বোরো ধানের মওসুমে শীতের প্রকোপে ধানের বীজ তলা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা কৃষকের বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
সার, তেল , শ্রমিক খরচ সব কিছু মিলিয়ে এবারো বরো ধানের মওসুমে লাভ হবে কিনা এজন্য বোরোধান চাষে অনেক কৃষক অনিহা প্রকাশ করেছে।
২১ নং ঢোলার হাঁট ইউনিয়নের আমীন বলেন- কি হেউত আর কি বোরোধান,ধান চাষ করলেই ফকির। এবার আমি বোরোধানের তিন বিঘা (৫০শতাংশ) মাটিতে এন এইচ ৭৭২০ ভূট্টা লাগাইছি। ভূট্টার আবাদে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি।
এ কৃষক জানান, আমাদের এলাকায় কমবেশি ভূট্টা চাষে সবাই আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
উপজেলার সকল ইউনিয়নে ঘুরে বালিয়া ইউনিয়নের কৃষক জালাল জানান-আমাদের এলাকায় বেশি ভাগই ভূট্টা চাষ করে আসছেন।
শুধু মাত্র রোপা আমন মওসুমে রোপা আমন ধান চাষ করে । বোরো মওসুমে বেশির ভাগ কৃষক ভূট্টা চাষ করে থাকে। ভূট্টা চাষে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি।
১০ নং জামালপুর ইউনিয়নের কৃষক পরেশ জানায় ধান চাষে তেমন লাভ হয় না। মুখের ভাতের জন্য আমি এক বিঘা(৫০ শতাংশ) বোরো ধান লাগাবো। আমি দুই বিঘা ভূট্টা লাগাইছি। ভূট্টায় ধানের চেয়ে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি।
রায়পুর ইউনিয়নের কৃষক জাহিদ বলেন আমাদের এলাকায় বরাবরই ধান চাষ ভলো হয়। আমাদের এলাকা জমিতে বিঘায় ৩৫- ৪০ মন ধান ফলন আসে। ধানের দাম মওসুমে না পাওয়ায় ও ভূট্টায় লাভ বেশি পাওয়ায় এলাকার কৃষক ভূট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
বালিয়ার কৃষক আলম বলেন রোপা আমন ধান আমাদের এলাকার সব কৃষক আবাদ করে। বোরো ধানের মওসুমে এলাকার প্রায় অনেক কৃষক ভূট্টা আবাদ করে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এ বছর যে ভুট্টা চাষ করছে কৃষক তা লক্ষ্য মাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2025 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.