ধারাবাহিক নিউজ পর্ব ( ৪ )
চুয়াডাঙ্গায় বিআরটিএ অফিস থেকে ফিরে মোঃ মিনারুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ও মোঃ আমিনুল ইসলাম দামুড়হুদা বিশেষ প্রতিনিধি::-
একাধিক সূত্র জানিয়েছেন প্রতিমাসে দুটি ড্রাইভিং বোর্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় ৫০ জন করে প্রতি মাসে অন্তত ১ শত জন এই দালাল জনি এর মাধ্যমে লাইসেন্স করা প্রতি মাসে অন্তত ১ শত জন ব্যক্তিকে নতুন লাইসেন্স করিয়ে দেন এই জনি প্রতি মাসে এই খাত থেকে হাতিয়ে নেয় অন্তত ৪/৫ লক্ষ টাকা।
চুয়াডাঙ্গায় বিআরটি অফিস সূত্রে জানা গেছে পেশাদার লাইসেন্স করতে সরকার পায় প্রথমে ৩৪৫ টাকা আর টেস্ট বোর্ডের পরীক্ষার পর পাশ করলেই লাইসেন্সের জন্য জমা দিতে হয় ১৬৭৯ টাকা। পুরো লাইসেন্স পেতে সরকার পায় মাত্র ২ হাজার চব্বিশ টাকা। আর অপেশাদার লাইসেন্স করতে সরকার পায় ৩৪৫ টাকা ও ২৫৪২ টাকা। মূল লাইসেন্স ফিসহ সব মিলিয়ে সরকার পায় ২৮৮৭ টাকা। কিন্তু দালাল চক্রের মাধ্যমে জনপ্রতি হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। গত চার বছরে বিআরটিএ অফিসে দালালি করে কয়েক কোটি টাকা মালিক হয়েছে এই শীর্ষ দালাল জনি। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জনি বলে গরীর মানুষ ড্রাইভিং চাকরী নাই বলে বিআরটিএ অফিসে এসে লোকজনকে সহযোগীতা করে জীবন চালাচ্ছি। সুত্রে জানা গেছে চুয়াডাঙ্গা জেলায় নতুন করে আরো ২ হাজার সিএনজির লাইসেন্স দেয়ার জন্য অনুমোদন পেতে আরটিসি কমিটির রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটি কাছে জোর তদবির চালাচ্ছে সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আতিয়ার রহমান। এই আরটিসির সদস্য সচিব হচ্ছেন তিনি। ইতিপূর্বে আরো ১ হাজার সিএনজির লাইসেন্স দেয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছিল আরটিসি। কিন্তু মোটা অংকের টাকাই প্রায় সিএনজির লাইসেন্স চুয়াডাঙ্গা বাইরে যশোর জেলায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এবারও যাতে এধরনের কান্ড না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখার দাবী জানিয়েছেন জেলার মোটরযান মালিকরা।
বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা সার্কেল এর সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আতিয়ার রহমান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন জনি অফিসের কোন স্টাফ নয় তবে সে সব কিছু জানে বিধায় অফিসের প্রয়োজনে তার ফটো কম্পিউটার এর দোকানে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তবে জনি যদি কোন অনিয়ম করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কাজের সাথে সম্পৃক্তরা আছে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে অফিসে দেখা করার কথা বলেন। এদিকে খলিফাদের বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা অফিসের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ারিং মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন এদেরকে বের করে দেয়া হবে। তবে জাল-কাগজপত্রের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে খোঁজ নেয়ার বিষয়টি এমন জোরালোভাবে বলা হলেও তা অনেকটা গল্পের মতো। গল্প শেষ খোঁজ নেয়াও শেষ। যে কারণে শর্ষের ভূত শর্ষের মাঝেই থেকে যায়।
বিআরটিএ- চুয়াডাঙ্গা অফিসের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে তাদের খলিফারা এখন অনিয়মের টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। এ অবস্থায় বিআরটিএর পরিচালক ইঞ্জিনিয়ারিং মোঃ লোকমান হোসেন মোল্লা বলেন কয়েকটি বিষয় আমাদের কাছে এসেছে। তবে এই বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এমন হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ( চলবে )
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2025 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.