অনলাইন ডেস্ক::নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালে নার্স ইনজেকশন দেয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে নুরুন নাহার (২৮) মারা যায়
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত নুরুন নাহার উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কামরুজ্জামানের স্ত্রী। নুরুন নাহার তিন সন্তানের জননী ও সাড়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পুলিশের উপস্থিতিতে হাসপাতালের মালিক পক্ষ ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে হাসপাতালের সামনে রাখা অন্তঃসত্ত্বার মরদেহ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
মৃতের স্বজনদের অভিযোগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা রৌশন জাহান লাকীর প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নুরুন নাহারকে ইনজেকশন দেন বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালের এক নার্স। ইনজেকশন দেয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে নুরুন নাহারের মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসা দেয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্সযোগে অন্তঃসত্ত্বার মরদেহ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ
এ বিষয়ে ডা. রৌশন জাহান লাকী বলেন, ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু হয়নি। বড় কোনো চিকিৎসক দিয়ে ঘটনার তদন্ত করলে রোগীর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করা হয়। এখানে রোগীকে তেমন কোনো চিকিৎসা দেয়া হয়নি। কাজেই ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর প্রশ্নই ওঠে না।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু এই মৃত্যু নিয়ে স্বজনরা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2025 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.