১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ অপরাহ্ন, ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
যশোর থেকে ফিরে নিজস্ব প্রতিনিধি ::-
যশোর পতিতা পল্লির অন্ধকার গলিতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসায় বাধ্য হচ্ছে ছয় কিশোরী।জীবন জীবিকার তাগিদে কাজে সন্ধানে ঘরের বাইরে পা রেখে প্রতারিত হয়ে আজ তাদের ঠাই মিলেছে যশোর কোতয়ালী থানা সংলগ্ন পতিতা পল্লিতে। ইচ্ছ না থাকা সত্তেও এই ছয় কিশোরীকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ছয় কিশোরীর অন্ধকার গলিতে বন্দি অবস্থার কথা থানা ও ফাঁড়ি পুলিশের সবাই জানে। কিন্তু আর্থিক লেনদেনের কারনে কানে নিচ্ছে না পুলিশ।
তথ্যানুসন্ধান ও নির্ভরযোগ্য সুত্র বলছে, কোতয়ালী থানা সংলগ্ন পতিতা পল্লির পতিতা সর্দারীনি কানা রোকেয়ার ঘরে ২জন, মাঝের গলির সর্দারীনি রোকেয়া ঘরে ২জন এবং তিন নং গলির অনিমার ঘরে ২জন কিশোরী রয়েছে যাদের বয়স ১৮ বছরের কম। এই তিন সর্দালীনি সদর ফাঁড়ির ইনচার্জকে ম্যানেজ করে এই ছয় কিশোরীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করছে। এই তিন কিশোরীকে প্রাপ্ত বয়ক দেখিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে প্রতি মাসে সদর ফাঁড়িকে মাসোহারা দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়। পতিতা পল্লি থেকে কোন পতিতার বাইরে বের হবার কথা নিষেধ থাকলেও তা কেউ মানে না।
সুত্র জানায় এই তিন সর্দারীনি এই ছয় কিশোরীকে খরিদ্দারের চাহিদা মোতাবেক শহরের বিভিন্ন বাড়ি বা আবাসিক হোটেলে পাঠিয়ে থাকে কারণ এই ছয় জনের চিহার অনেক সুন্দর। অভিযোগ রয়েছে, পতিতা কানা রোকেয়া ইডেন মার্কেটের পেছনে একটি বাড়ি রয়েছে। এই বাড়িতে প্রতি রাতে শহরের বেশ নামী দামী লোকজন ফুর্তিতে মেতে ওঠেন এই অপ্রাপ্ত বয়ক কিশোরীদের নিয়ে। থানা বা ফাঁড়ি পুলিশ সবই জানে কিন্তু এই কিশোরীদের এই অন্ধকার জীবন থেকে বের হয়ে আসতে কোন সহযোগিতা করেনি বলে কিশোরীদের অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে এই তিন পতিতা সর্দারীনি প্রতিমাসে যে টাকা আয় করে তা থেকে একটি মোটা অংকের অর্থ থানা ফাঁড়ি পুলিশকে দিয়ে থাকে। আর এই কারনেই তারা জেগে জেগে ঘুমায়। এব্যাপারে বক্তব্যের জন্য কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে ফোন করা হলে তিনি জানান পতিতা পল্লির ব্যাপারে কথা বলতে হলে সদর ফাঁড়ির ইনচার্জের সাথে কতা বলতে অনুরোধ করেন আজকের ক্রাইম নিউজ কে। সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তুষারের বক্তব্যের নেওয়ার জন্য কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল জানান বিষয়টি মানবাধিকার বিরোধী। অবশ্যই এই ছয় কিশোরীকে উদ্ধারে মানবাধিকার সংগঠন গুলিকে সাথে নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।