১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিউজ ডেস্ক::গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও সহকারি প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। নেপাল থেকে পড়তে আশা কৃষি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছুমি শিং (২২) এই অভিযোগ করেন। বুধবার বেলা ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী।
এসময় ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে বলেন, হুমায়ূন কবীর সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হিসেবে তিনি কৃষি বিভাগের কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে নিয়মিত কাস নেন। এই সুযোগে তিনি আমার সঙ্গে ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে অন্তরঙ্গ হওয়ার চেষ্টা করেন এমনকি বিয়ের প্রস্তাবও দেন। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। এসব কথা আমি অন্য শিক্ষকদের জানাতে চাইলে ওই শিক্ষক আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এছাড়াও আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো প্রকারে সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে দেবেন না বলেও হুমকি দেন। আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ও দুশ্চিন্তায় ভুগছি যার কারণে আমার একাডেমিক পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘœ ঘটছে এবং যে কোনো সময়ে কোনো ধরণের দূর্ঘটনা ঘটলে তার জন্য দায়ী থাকবেন ওই শিক্ষক জানান ছুমি শিং।
যৌন হয়রানির বিষয়ে ইতিপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছিলেন ওই বিদেশী শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও সহকারি প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। সে সময় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে আমিই সর্বপ্রথম প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করি। সাবেক ভিসিপন্থী শিক্ষক বিতান খানমসহ অন্যান্য অনেক শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে নানান ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। আমার নামে ফেক ফেইসবুক আইডি খুলে আমার চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয় এবং ওই সময়ে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। আমার মনে হচ্ছে এই শিক্ষার্থী ওই ধরনের কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর ফেইসবুক আইডিতে কোনো বন্ধুত্ব নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. শাহজাহান বলেন, যৌন হয়রানীর বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসে নাই। কেই যদি এ ধরণের অভিযোগ দাখিল করে থাকে তা যৌন নিপীড়ন সেলের মাধ্যমে তদন্ত করা হবে। তারপর কে দোষী সেটা তদন্তের মাধ্যমে বের করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আর কোনো শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করা হয়ে থাকলে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।