০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, মঙ্গলবার, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দেশে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে অর্থ খরচ হয় এর চেয়ে কমে জনসাধারণকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে জানিয়ে দেশবাসীকে তা ব্যবহারে আরও সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার সকালে গণভবনে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন এবং ২৩টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ সাল হচ্ছে মুজিব বর্ষ। এই মুজিব বর্ষে দেশবাসীকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমরা ২৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে তা সঞ্চালন ও বিতরণ গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এই কাজটি দক্ষতার সঙ্গে করছে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে যখন আমরা ক্ষমতায় আসি তখন দেশ ছিল অন্ধকারে। আমরা তখন বেসরকারিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর জোর দিই। কলকারখানার মালিকদের বলি অল্প করে হলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে। আমরা তখন জেনারেটরের ওপর থেকে ট্যাক্স তুলে দিই।
শেখ হাসিনা জানান, তারা যখন ২০০১ সালে সরকার থেকে যান তখন বিদ্যুতের রিজার্ভ ছিল চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। সাত বছর পর আবার ক্ষমতায় এসে দেখেন এই দীর্ঘ সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েনি, বরং একশ মেগাওয়াট কমেছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে তারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে জোর দেন। বর্তমানে দেশে ২৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এই পরিমাণ দিন দিন শুধু বাড়তে থাকবে এবং দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বর্তমানে দেশের ৯৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় চলে এসেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ অন্ধকারে থাকবে না, সবখানে আলো জ্বলবে।’