১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিএমপি’র শ্রদ্ধা নিবেদন প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীর স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ পালাতে গিয়ে প্রাণ গেল আসামির, তিন পুলিশকে আটকে রেখেছেন স্থানীয়রা ঝালকাঠির রাজাপুরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবি করায় হামলা, আহত ৭ দর্শনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৪ বানারীপাড়ায় ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নবাগত ইউএনওর মতবিনিময় বরিশাল মেট্রো পলিটন বিএমপি’র কোতোয়ালি মডেল থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও নাসিরের স্ত্রী ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন বড় ভাই সুন্দরবন সাব সেক্টরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আব্দুল গফফার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেদিন পাক সেনাদের কাছে মাথা নত করিনি
আবরার হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে (চার্জশিট)। আজকের ক্রাইম নিউজ।

আবরার হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে (চার্জশিট)। আজকের ক্রাইম নিউজ।

অনলাইন ডেস্ক::বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফাহাদ আবরাকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে ছাত্রলীগের নেতাসহ বুয়েটের ২৫ ছাত্রের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তাদের সবাইকেই চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে। সাক্ষী হয়েছেন ৩০ জন। এক মাসের মধ্যে এ মামলার তদন্ত শেষ করল ডিবি পুলিশ।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ, আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও তদন্তে পাওয়া তথ্যানুযায়ী চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শিবিরকর্মী সন্দেহে আবরারকে খুন করা হয়েছে। আসামিরা ওই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন। চার্জশিটে যে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১ আসামি কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৬ জন এবং এজাহারের বাইরে পাঁচজন আসামি রয়েছেন। এজাহারভুক্ত তিন আসামি এখনো পলাতক। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম ইত্তেফাককে জানান, আবরার হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করা হয়েছে। চার্জশিটও প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। জানা গেছে, এত বড়ো ঘটনায় চার্জশিট দেওয়ার আগে তদন্ত তদারকি কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর অনুমতি নিয়েছেন।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার করা আসামিদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে অপর আসামিদের সম্পৃক্ততাও উঠে এসেছে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই জন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর বাইরে তদন্ত কর্মকর্তারা বুয়েটের শিক্ষক, শেরেবাংলা হলের প্রভোস্ট, চিকিত্সক, নিরাপত্তাকর্মীসহ বিভিন্নজনের সাক্ষ্য নিয়েছেন। চার্জশিটে তাদের সাক্ষী হিসেবে রাখা হচ্ছে। চার্জশিটের সঙ্গে আলামত হিসেবে আবরারের রক্তমাখা জামা-কাপড়, মেসেঞ্জারে আসামিদের লিখিত যোগাযোগ, প্রযুক্তিগত অন্যান্য যোগাযোগ, শেরেবাংলা হলের সিসিটিভি ফুটেজসহ ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা আলামতও জমা দেওয়া হচ্ছে। আসামিদের অন্তত ১১ জন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে ছিলেন। অপর আসামিরাও ছাত্রলীগের কর্মী বা সমর্থক ছিলেন। তবে আবরার হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগ থেকে পদধারীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু মামলার তদন্তের সময়ে রাজনৈতিক পরিচয় বাদ দিয়ে তাদের অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে। চার্জশিটেও এর প্রতিফলন থাকছে। কার কী অপরাধ, কতটুকু অপরাধ—তা চার্জশিটে উল্লেখ করা হচ্ছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামি হচ্ছেন যারা : মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অমিত সাহা, মাজেদুল ইসলাম, মো. মুজাহিদুল, মো. তানভীর আহমেদ, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. জিসান, মো. আকাশ, শামীম বিল্লাহ, মো. সাদাত, মো. তানিম, মো. মোর্শেদ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, এস এম মাহমুদ সেতু প্রমুখ। তাদের মধ্যে মুন্না, অমিত সাহা, মিজান, রাফাত ও সেতুর নাম এজাহারে ছিল না। আসামিদের মধ্যে রাসেল ছিলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক, ফুয়াদ সহসভাপতি, অনিক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, রবিন সাংগঠনিক সম্পাদক, সকাল উপসমাজসেবা সম্পাদক, মনির সাহিত্য সম্পাদক, জিয়ন ক্রীড়া সম্পাদক, রাফিদ উপদপ্তর সম্পাদক, অমিত সাহা উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং তানিম, মুজাহিদুর ও জেমি সদস্য। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামি মো. জিসান, মোর্শেদ ও এহতেশামুল তানিম এখনো পলাতক। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আট আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন—নাজমুস সাদাত, ইফতি মোশাররফ, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর ও মনিরুজ্জামান মনির।

৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলে নিজের কক্ষ থেকে আবরারকে ডেকে নিয়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরের দিন তার বাবা বরকতুল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019