১০ Jul ২০২৫, ০২:২৯ অপরাহ্ন, ১৪ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আমতলী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদের প্রতিবাদ: বক্তব্য রাখলেন সাবেক অধ্যক্ষ পীর সাহেব আবুবক্কার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ দর্শনা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের বাবুর বাড়িতে নাহিদ-সারজিস-হাসনাত- আকতার ভারতে সেতু ভেঙে একাধিক গাড়ি নদীতে, নিহত ৯ ঝালকাঠিতে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করলেন মা-ছেলে বরিশালে বিএমপিতে সদ্য যোগদানকৃত  কনস্টেবল ব্যাচ/১৪ এর ওরিয়েন্টেশন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠিত।  বরিশালে ১৬১ পিচ ইয়াবাসহ  সহসহকারী আইনজীবী আটক  বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে বিলুপ্তির পথে মাটির মটকি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে-নাহিদ ইসলাম গৌরনদী‌তে ১৬১ পিচ ইয়াবাসহ বরিশাল জজকোর্টের আইনজী‌বি সহকা‌রি শ‌হিদুল বেপারী আটক দর্শনা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষকের মরদেহ ৭ দিনের মাথায় রাতে ফেরত
মা-খালা-মেয়ে কাউকেও ছাড়েনি ভণ্ডপীর মনির। আজকের ক্রাইম নিউজ

মা-খালা-মেয়ে কাউকেও ছাড়েনি ভণ্ডপীর মনির। আজকের ক্রাইম নিউজ

অনলাইন ডেস্ক:: রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ আশুলিয়ায় মা-খালার পর কিশোরী মেয়েকে অসংখ্যবার ধর্ষণের অভিযোগে এক ভণ্ড পীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার দিনগত রাতে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ভণ্ড পীরকে তার নিজ বাড়ির পঞ্চম তলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কথিত ওই পীরের নাম মো. মনির হোসেন (৪০)। তাকে গ্রেপ্তারের সময় ওই বাড়ি থেকে ধর্ষিত নারীদের উদ্ধার করা হয়।

মনির আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার মৃত আঃ রহিমের ছেলে। সোমবার দুপুরে আশুলিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ পরিদর্শক জাবেদ মাসুদ জানান, প্রায় ১৫/১৬ বছর আগে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রী (৩৩) মুরিদ হন একই এলাকার ভণ্ড পীর মনির হোসেনের কাছে।

মুরিদ হিসেবে ওই ভণ্ড পীরের আস্তানায় নিয়মিত যাতায়াত ছিলো ওই নারীর। এক পর্যায়ে মনির ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছিলো ওই নারীকে।

দীর্ঘদিন তাকে ধর্ষণের পর ওই নারীরই ছোট বোনের (৩০) প্রতি আকৃষ্ট হন মনির। পরে তাকেও নিজ আস্তানায় এনে মুরিদ বানিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করতে থাকেন।

কিছুদিন পর ওই দুই বোনের মধ্যে মনমালিন্যের ঘটনা ঘটনার পর ছোট বোন ওই আস্তানায় যেতে অসম্মত হলে বড় বোনকে নানা কৌশল করে বুঝিয়ে তার কিশোরী মেয়েকেও (১৩) আস্তানায় এনে মনির অসংখ্যবার ধর্ষণ করেন।

এক পর্যায়ে ওই কিশোরী তার খালাকে সকল ঘটনা বলে দেয় এবং গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে চায়।

এক পর্যায়ে ওই কিশোরীর খালা আশুলিয়া থানা পুলিশকে খরব দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ রবিবার রাতে মনিরের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

এ ঘটনার পর অভিযুক্ত পীরের সহকারী মকবুল হোসেন পলাতক রয়েছেন। মনিরের বিরুদ্ধে এ ধরনের আরো অনেক অভিযোগ পুলিশ পেয়েছে। তার বাড়িতে আস্তানা বানিয়ে তিনি নির্বিঘ্নে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মনিরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছোট বোন বাদি হয়ে ভণ্ড পীর ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, আরো অনেক নারী ওই আস্তানায় আসতো এবং ভণ্ড পীর মুনির তাদেরকেও ধর্ষণ করেছে। ধর্মবিরোধী কাজেই লিপ্ত ছিল মনির। পাশাপাশি সে বাদিকেও ইসলাম ধর্মের অবমাননাকর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার জন্য বাধ্য করতো এবং নিজেকে সে খোদা দাবি করে তার ছবিতে সেজদা করার জন্য বলতো।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ রিজাউল হক দিপু জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের বড় বোনকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে নানা কৌশলে ভণ্ড পীর মুরিদ করে ধর্ষণ করে আসছিলো। পরে তার ছোট বোন ও কিশোরী মেয়েকে একই কৌশলে ধর্ষণ করে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019