০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন, ৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
হারুনসহ তিন অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসর দর্শনায় কেরুজ টেন্ডার বাক্স ভাঙচুরের মামলা,আসামী ২০/২৫ জন কালকিনিতে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ১০০০ পিচ শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ। ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় হবে হ্যারিকেন মিল্টন দুর্গাপূজা হলো সাম্যের প্রতীক ও মৈত্রীর প্রতীক- উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা হাসানাত আব্দুল্লাহসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা মোরেলগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী অসুস্থ এম. এ মান্নান সিলেট ওসমানী হাসপাতালে দর্শনায় আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির ব্যাংকের ৪৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান সুন্দরবনের উপকূলীয় মোরেলগঞ্জে ব্রিজের অভাবে চরম দুর্ভোগে ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ
অভিযুক্ত সুমন। তার দেয়া জবানবন্দিতে বাজি ধরতে গিয়ে খুন হন রুহুল।

অভিযুক্ত সুমন। তার দেয়া জবানবন্দিতে বাজি ধরতে গিয়ে খুন হন রুহুল।

বরিশাল নগরের আমানতগঞ্জ এলাকায় যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে অভিযুক্ত সুমন। তার দেয়া জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় নথিভূক্ত করেন আদালতের বিচারক মো. আনিছুর রহমান। জবানবন্দি গ্রহন শেষে সুমনকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। জেলে যাওয়া সুমন বরিশাল নগরের বেলতলা ইসলামিয়া কলেজ সংলগ্ন বাবুল মিয়ার ভাড়াটিয়া মকবুল হাওলাদারের ছেলে। সুমন তার জবানবন্দিতে জানায়, সে ও রুহুল আমিন পূর্ব পরিচিত। গত ৩ নভেম্বর ভারত বনাম বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। ওই খেলাকে কেন্দ্র করে বাজি ধরে সুমন ও রুহুল আমিন। খেলায় বাংলাদেশের পক্ষে সুমন ও ভারতে পক্ষে রুহুল আমিন ৮ হাজার টাকা বাঁজি ধরে তারা। ওই খেলায় বাংলাদেশ বিজয়ী হলে রুহুলের কাছে জুয়ার ৮ হাজার টাকা দাবী করে সুমন। পরে টাকা না দিয়ে চলে যায় রুহুল। পরের দিন ৪ নভেম্বর আমানতগঞ্জ কসাই বাড়ির পুলসংলগ্ন এলাকায় রুহুলকে পেয়ে জুয়ার ৮ হাজার টাকা দাবী করে সে। এ সময় ওই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে সুমনকে থাপ্পর দেয় রুহুল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাথে থাকা ছুড়ি দিয়ে রুহুলকে আঘাত করে পালিয়ে যায় সে। বুধবার এভাবেই বাজির টাকার জন্য হওয়া হত্যার কথা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বর্ননা দেয় বলে আদালত সূত্রে জানাগেছে। এদিকে হত্যার ঘটনায় ওই দিনই রুহুল আমিনের বাবা পলাশপুরের ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ আলি মুন্সি বাদী হয়ে সুমনকে আসামি করে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করে। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার ছেলে তার ছেলে রুহুল আমিন ঢাকা ফিলিপস কম্পানিতে চাকরি করতো। গত ২৮ অক্টোবর চাকরি ছেড়ে বরিশাল আসে। পরে বাজার রোডে প্রিয় ভান্ডারের সেল্সম্যান পদে চাকরি নেয়। সুমনের সাথে রুহুল আমিনের পূর্ব থেকে টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ৪ নভেম্বর বিকেলে রুহুল আমিন ওই এলাকা থেকে ফেরার পথে সুমনকে পাওয়ায় তার কাছে পাওনা টাকা চায়। এতে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাথে থাকা ছুড়ি দিয়ে রুহুলকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সুমন পালিয়ে যায়। পরে রুহুলকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় মামলার পরপরই ৫ নভেম্বর সুমনকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতারক করে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019