১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিউজ ডেস্ক::
একাধিকবার তাগিদ দেওয়ার পরও আদালতে সাক্ষী দিতে না আসায় ঝালকাঠি সদর থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) টিপু লাল দাসকে ৭ দিনের কারাদ- ও ২৫০ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। টাকা পরিশোধ না করলে আরো এক দিনের কারাদ-াদেরশ দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ মো. তোফায়েল হাসান এ আদেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে এসআই টিপু লাল দাসের বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হিসেবে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। টিপু লাল দাস বর্তমানে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানায় কর্মরত রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের ভাওতিতা গ্রামে রফিক মল্লিকের বসত ঘর থেকে তাঁর স্ত্রী নাছিমা আক্তারের (৩৫) মৃত্যু মৃত দেহ উদ্ধার করে। তখন ঝালকাঠি থানায় কর্মরত এসআই টিপু লাল দাস মৃত ওই নারীর সুরতহাল তৈরি করেন। এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
সুরতহাল প্রস্তুতকারী হিসেবে এসআই টিপু লাল দাস এ মামলার একজন সাক্ষী । গৃহবধূ নাছিমা আক্তারকে যৌতুকের দাবীতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে নিহতের ভাই আলম হোসেন বাদী হয়ে আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করে। নালিশী অভিযোগে নিহতের ভাই দাবি করেন, তাঁর বোনকে বাবার বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য স্বামী প্রায়ই মারধর করতো। যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী ও তাঁর ভাইয়েরা পরিকল্পিতভাবে নাছিমাকে হত্যা করে। পুলিশের সুরাতহালে তাঁর শরীরে কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলো না, তবে মুখ থেকে সাদা ফেনা বের হচ্ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সে কারনেই এই মামলায় এসআই টিপু লাল দাসের সাক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ। টিপু লাল দাস ঝালকাঠি থেকে বদলি হয়ে গেলে আদালত একাধিকবার তাকে সাক্ষি দেওয়ার জন্য সমন ওয়ারেন্ট পাঠান। আদালতে সাক্ষী দিতে না আসায় এসআই টিপু লাল দাসের বিরুদ্ধে আদালত গত ১৬ অক্টোবর কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠান। বুধবার এ মামলার ধার্য্য তারিখে আদালতে এসআই টিপু লাল দাস উপস্থিত না হওয়ায় তাকে কারাদ- প্রদান করা হয়।