১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জলিলুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার :
সকালে ঘাসের ডগায় শিশির ভেজা মুক্তকণা জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।ঋতু বৈচিত্রের কারনে রাতে কুয়াশা ও দিনে গরম থাকলেও শেষ রাতে ঠান্ডার প্রকোপ কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। এ উপলক্ষে বরগুনার তালতলী-আমতলীতে শীতের ঠান্ডা নিবারনের জন্য লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
জানা গেছে,অধিক মুনাফা ও বেশি বিক্রির আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কারিগর এবং ব্যবসায়ীরা।।বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নতুন নতুন লেপ তৈরি করছে। বছরের অন্যান্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কয়েক গুন বেড়ে যাবে এমনটা আশাবাদী ব্যবসায়ীদের।ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, এবার তুলার দাম একটু বেশি হলে ও লেপ-তোষক তৈরি করতে হচ্ছে ।মিশালী তুলা ২০ টাকা, সিম্পল তুলা ৭০ টাকা, শিমুল তুলা ২৭০ টাকা ও সাদা তুলা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন একজন কারিগর ২ থেকে ৪টি লেপ তৈরি করেন। মাঝারি ধরনের একটি লেপ বানাতে খরচ হয় দুই হাজার থেকে বাইশত টাকা । তোষক বানাতে ১৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হয়। তবে লেপ-তোষক প্রকারভেদে কম বেশী হতে পারে।প্রকারভেদে লেপ-তোষক তৈরির মজুরি ৩০০-৪৫০ পর্যন্ত হতে পারে।
আমতলী-তালতলীর বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে,কারিগররা লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দোকানগুলোতে বিক্রি এখনো তেমন শুরু হয়নি। সপ্তাহ দুয়েক পরে পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়ে যাবে। আবার অনেক কারিগর ও দোকানদার শীত শুরু হওয়ার পূর্বেই পর্যাপ্ত পরিমাণ লেপ- তোষক তৈরী করে দোকানে মজুদ রাখেন বিক্রির জন্য। বাজারে কম্বলের তুলনায় লেপের দাম কম হওয়ায় চাহিদা বেশি। তুলা পিটিয়ে তা রঙ বেরঙের কাপড়ের তৈরি লেপ-তোষকের কাভারে মুড়িয়ে সুই-সুতার ফোড়ে তৈরি করা হয় লেপ-তোষক।
থানা সংলগ্ন আজাদ বেডিং হাউসের মালিক মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, শীত নিবারনে লেপের পাশাপাশি কম্বলের চাহিদাও বেড়েছে। তবে এখনো লেপ বেশী বিক্রি হচ্ছে।
তালতলী বাজারের সদর রোড এ মেসার্স গাজী স্টোরের মালিক মো.আলতাফ হোসেন বলেন,এখন ও তেমন লেপ-তোষক বিক্রি শুরু হয় নি তবে আমি আশাবাদী গত বছরের তুলনায় এবছর বেশী বিক্রি হবে।