১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি রাফিকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার ওই নারীর সৎ ভাই মামুন হোসেন বাদী হয়ে মামলা করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রাফি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অনন্তবালা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, নির্যাতনের শিকার ওই নারীর ভাই মামুনের দায়ের করা মামলায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরে ঠেঙ্গামারা এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সুবাদে শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের অনন্তবালা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রাজমিস্ত্রি মো. রাফির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় ওই নারীর। ৮-৯ মাস আগে তারা বিয়ে করেন এবং ঠেঙ্গামারা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে দম্পতি হিসেবে বসবাস করছিলেন। গত অক্টোবর মাসে রাফি তার স্ত্রীকে শহরের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। এরপর থেকে তিনি তার স্ত্রীর কোনো খোঁজ-খবর না নেয়ায় শুক্রবার সকালে অনন্তবালা গ্রামে রাফির বাড়িতে যান ওই নারী। রাফি ও তার পরিবারের সদস্যরা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারীকে বাড়ির পাশের ফুলকপি ক্ষেতে নিয়ে একটি বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের (চৌকিদার) মাধ্যমে তাকে শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।
নির্যাতিত ওই নারীর অভিযোগ, স্বামী রাফি ১৫-২০ দিন ধরে তার খোঁজখবর না নেয়ায় শুক্রবার সকালে শিবগঞ্জের অনন্তবালা গ্রামে ঘর ভাড়ার টাকা নিতে রাফির বাড়িতে যান। তখন রাফি ও তার বাড়ির লোকজন জমি থেকে কপির গাছ উপড়ে তোলেন এবং তাকে চুরির অপবাদ দেন। এরপর তাকে জমিতে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন।