১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ অপরাহ্ন, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্কঃ
শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সেবা সংস্থার ঝুলন্ত তার দ্রুত অপসারণ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিদ্যুৎ ভবনে ঢাকা মহানগরীর রাস্তার পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঝুলন্ত তার ও বিতরণ লাইনকে ভূগর্ভস্থ বিতরণ লাইন ব্যবস্থার আওতায় স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের পোলে তার ঝুলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে রেখে কোয়াব বা আইএসপিএ প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে, যা সার্বিকভাবে অনভিপ্রেত।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের (এনটিটিএন) আওতাধীন অপারেটরদের ভূগর্ভস্থ লাইন করে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার কথা। কোয়াবকেও এ অবকাঠামো ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু তা না করে বিদ্যুতের পোলে ব্যবহার করছে। ঢাকা শহরের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা ভূগর্ভস্থ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য ও বিনোদন ব্যবস্থাকে সমন্বিতভাবে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই। কিন্তু বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে নয়।’
ঢাকা মহানগরীর যেসব এলাকায় লোকাল ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট (এলডিপি) ব্যবস্থা রয়েছে, সেসব এলাকায় জিপিএস ম্যাপসহ তালিকা প্রস্তুত; যেসব এলাকায় এখনও আন্ডারগ্রাউন্ড ফাইবার অপটিক ক্যাবল সুবিধা তৈরি হয়নি সেসব এলাকায় কর্মপরিকল্পনাসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্মসচিবকে (সুশাসন ও কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা) পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় অনুষ্ঠানে।
জানা গেছে, এনটিটিএন, আইএসপিএ, টেলিফোন লাইন, ডিসলাইন ইত্যাদি সংস্থার তার বিদ্যুতের পোলের সঙ্গে সংযুক্ত।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় অন্যদের মধ্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনসহ বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, জননিরাপত্তা বিভাগ ও পেট্রোবাংলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।