২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ন, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, মঙ্গলবার, ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী আটক বিএনপি’র কর্মী বিষপান ও আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় উদ্ধার মোংলায় নদীভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ ঘাটে চলছে পারাপার বিপদে হাজারো গার্মেন্টস শ্রমিক,ভাঙন রোধে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অগ্রগতি থমকে বানারীপাড়ায় এক বছরের শিশুর গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি: টাকা ও স্বর্নালঙ্কার লুট মোরেলগঞ্জে আধুনিক বাংলা-চায়না হাসপাতাল স্থাপনের দাবি স্থানীয়দের বাকেরগঞ্জে কারখানা নদীর বালুমহল ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন দর্শনায় লোকমোর্চোর আলোচনা সভা ঢাকাস্থ বাবুগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আলমডাঙ্গায় সাটারগান ও চাইনিজ কুড়ালসহ ১ জনকে গ্রেফতার সরাসরি ভোটে চেয়ারম্যান-মেয়র নির্বাচন বাতিলের প্রস্তাব
পুলিশ মামলা না নেয়ার কারণেই থানা থেকে বেরিয়ে শরীরে আগুন দিয়ে লিজার আ’ত্মহ’ত্যা

পুলিশ মামলা না নেয়ার কারণেই থানা থেকে বেরিয়ে শরীরে আগুন দিয়ে লিজার আ’ত্মহ’ত্যা

পুলিশ মামলা না নেয়ার কারণেই থানা থেকে বেরিয়ে শরীরে আগুন দিয়ে লিজার আ’ত্মহ’ত্যা

স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মা’মলা করতে গিয়েছিলেন কলেজছাত্রী লিজা রহমান (২০)। কিন্তু পুলিশ মা’মলা না নেয়ার কারণেই থানা থেকে বেরিয়ে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করেছেন। মৃ’ত্যুর আগে নিজের জবানবন্দিতে লিজা এ কথায় জানিয়ে গিয়েছেন।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফয়জুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার বাইরে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন লিজা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন

ইউনিটে চিকিৎসাধীন লিজা মা’রা যান। তার মৃ’ত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। চার সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গত ২ অক্টোবর রাজশাহীতে এসে প্রথম দফায় তদন্ত করে।

পরে বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা আবার রাজশাহী এসে শাহমখদুম থানার দুজন পুলিশ সদস্য, পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের চারজন, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী

চারজন, লিজার কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি জানান, ‘লিজা রহমান ডাইং ডিক্লিয়ারেন্সে বলেছে, তার মামলা না নেয়ার ব্যাপারে পুলিশ নারাজি ছিল। সে জন্যই সে এই পথ বেছে নিয়েছে। এ রকম ডাইং ডিক্লিয়ারেন্সে বলা আছে।’

পুলিশের তদন্ত অবশ্য সে কথা বলছে না। লিজার গায়ে আগুন দেয়ার পর রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার সালমা বেগমকে প্রধান করে তিন

সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাদের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই।

আর মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক আল-মাহমুদ ফয়জুল কবির বলছেন, গড়মিল রয়েছে পুলিশের দেয়া তথ্যে।

তিনি বলেন, শাহমখদুম থানার পুলিশের এবং ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশের সরবরাহকৃত তথ্য-উপাত্ত যেমন- ভিডিও ফুটেজ, এজাহার, জিডির কপি এবং তাদের সাক্ষীর মধ্যে গড়মিল পরিলক্ষিত হয়েছে।

কোন বিষয়ে গড়মিল দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লিজার দায়ের করা যে জিডিটা দেখানো হচ্ছে, সেখানে লিজার স্বামী এবং শ্বশুরের নাম-ঠিকানা লেখা আছে।

কিন্তু থানা এবং ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বলেছেন, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে লিজা সর্বশেষ বের হয়ে যায় স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ির নাম-ঠিকানা সংগ্রহের কথা বলে। অথচ জিডিতেই সেটা উল্লেখ আছে।

তবে এ সময় আর বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির এই প্রধান।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019