০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রবিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে ধর্ম অবমাননা রোধ ও শেষ নবীর মর্যাদা সংরক্ষন আইন পাশের দাবী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে গোপালগঞ্জ গওহরডাঙ্গার কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড । মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা মুফতি রুহুল আমিনসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। জেলা প্রশাসনের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল বাকী।
উল্লেখ করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স) কে নিয়ে কুটুক্তির প্রতিবাদে ভোলার বোরহানউদ্দিনে ২০ অক্টোবর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। ওই শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় আইন শৃংখলা বাহিনী নির্বাচারে গুলি বর্ষন করে। গুলিতে অসংখ্য লোক আহত হয় এবং চার জন নিহত হয়। পরে তাওহীদী জনতার ব্যানারে ছয় দফার ডাক দিলে ভোলা-২ আসনের এমপি, বরিশাল পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক ও ভোলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আন্দোলনরত নেতাদের সাথে বৈঠক করে তাদের ছয় দফা দাবী মেনে নেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয় স্মারকলিপিতে ।
স্মারকলিপিতে আরোও উল্লেখ করেন দেশে ধর্ম অবমাননার যে আইন আছে তার যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় দিনদিন নানাভাবে ধর্ম অবমাননার মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে। এতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গওহারডাঙ্গা চারটি দাবীর প্রস্তাব করেন।
দাবীগুলো হলো:
ক. সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে ধর্ম অবমাননারোধ ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) মর্যাদা সংরক্ষন আইন পাশ করতে হবে।
খ. ভোলার বোরহানউদ্দীনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
গ. পুলিশ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
ঘ. ভোলার জনগণের ছয় দফা দাবী দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।