০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, ৭ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্কঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নবীজীকে অবমাননা করে পোস্ট দেয়ার জের ধরে ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সাথে জনতার সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ৩০জনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলো- বোরহানউদ্দিনের মিজানুর রহমান (৩০), ইউনুস (৬০), নান্টু (৪০), মাকসুদুর রহমান (১৮), তানভীর (৩০), ওয়ালিউল্লাহ (২৪), সিদ্দিক (২৮), আবু তাহের (৩০), শামীম (১৮), সোহরাব (৩০), আল আমিন (১৮), জামাল (২৫), আবুল কালাম (৩৮), কবির (৩৫), আলাউদ্দিন (৪২), সোহেল (২৬), হান্নান (৪৫), মোঃ রিয়াজ (২৯), ইমাম হাসান(২৬), নুরুল ইসলাম (৩৫), রকিব (১২), মনির (১৭), রাকিব (১৫), হাসিব (১৪) তাজুল ইসলাম (৫৫), মুন্না (১৩) ও সুজন (৩৫)।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আবুল হাসনাত রাসেল জানান, রোববার বেলা দেড়টা থেকে এই হাসপাতালে ভোলার বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় আহতরা আসতে শুরু করে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৩০জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়।
আহতদের স্বজনরা জানান, সম্প্রতি জনৈক ব্যক্তি মহানবী ও ইসলাম সম্পর্কে ফেসবুকে কটুক্তি করে। এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবীতে আজ বেলা ১১টায় ভোলার বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে একটি সমাবেশের আয়োজন করে। গোলযোগের আশংকায় পুলিশ সমাবেশের অনুমতি দেয়া থেকে বিরত থাকে। এরপরও স্থানীয় জনতা সমাবেশের আয়োজন করে।
স্বজনরা আরো জানান, পুলিশকে উপেক্ষা করে সমাবেশ স্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তখন পুলিশ সমাবেশ না করার অনুরোধ জানান। এসময় উত্তেজিত হয়ে কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এর একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। এদের মধ্যে ৩০জনকে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে বোরহানউদ্দিনে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বরিশাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি শফিকুল ইসলাম