১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ডেক্স রির্পোট,::
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে পরিচিত ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অবৈধ সম্রাজ্য গড়ে তোলার নেপথ্যের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত-সমালোচিত নেতা এই সম্রাটের পেছনের ‘সম্রাট’ বা পৃষ্ঠপোষক কারা-সেটি জানতে কাজ শুরু করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয় (র্যাব) টিম। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই আলোচিত যুবলীগ নেতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র্যাব। দেশে-বিদেশে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব নিচ্ছেন র্যাব ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। যুবলীগ নেতা দাবিদার ‘গ্লাসবয় জাকির’ নামে এক ব্যক্তির কাছে সম্রাটের কয়েক কোটি টাকা রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এ ছাড়া যুবলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা ক্যাসিনো কারবার থেকে মাসে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিতেন বলেও জেনেছে র্যাব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এদিকে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা সম্রাট ও খালেদের অন্তত ৩০ জন ক্যাডারের কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থাকলেও তারা এখনো অধরা। অপরাধ জগতের এই দুই ডন গ্রেফতার ও সাম্রাজ্যের পতন হওয়ার পরই আত্মগোপনে গেছেন সেই অস্ত্রধারীরাসহ অধিকাংশ ক্যাডার। একই সূত্রমতে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই আলোচিত যুবলীগ নেতা সম্রাট রাজধানীর ক্যাসিনো কারবার, টেন্ডার ও চাঁদাবাজি নিয়ে পিলে চমকানো তথ্য দিয়েছেন, ফাঁস করেছেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিকের নাম-যারা তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পেতেন। তবে তাদের নামধাম এ মুহূর্তে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদকারী পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে থাকা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে প্রথমে রমনা থানা পুলিশ ও পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা জেরা করেছেন। গতকাল দুপুরে সম্রাটকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর পরই সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরমানকে জিজাসাবাদ শুরু করেন র্যাব কর্মকর্তারা। এর আগে মঙ্গলবার ক্যাসিনো সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।