০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, ৭ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
দর্শনায় জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ী সংগঠনের দ্বি-বার্ষিক জেলা কাউন্সিল ও ব্যবসায়ী সমাবেশ পরীক্ষার হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা আটক, পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা ডিবি কার্যালয়ে শাওন-সাবা চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর কৃষকের প্রাণের স্পন্দনে মুখরিত হলো ঝালকাঠি সদর উপজেলার ইকো পার্ক ঝালকাঠিতে বিভাগীয় কমিশনারের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বানারীপাড়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিএনপি নেতার পদ স্থগিত বিজিবি কর্তৃক নীলফামারীতে ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকার হিরোইন-কোকেন উদ্ধার। কেরুজ শ্রমিক -কর্মচারী ইউনিয়নেন সাধারণ সম্পাদক সৌমিককে অন্য মিলে বদলীর খবরে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ চুয়াডাঙ্গায় শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও আ.লীগের কার্যালয় ভাঙচুর
৪৫০ কোটি টাকা ভারতে পাচারের অভিযোগে ওসি আহাদসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা

৪৫০ কোটি টাকা ভারতে পাচারের অভিযোগে ওসি আহাদসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা

হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে ৪৫০ কোটি টাকা ভারতে পাচার এবং সাড়ে ৪ কোটি টাকা ঘুষ আদায়ের মাধ্যমে ভারতীয় চোরাই ও চোরাচালানের গবাদিপশুর হাট বসিয়ে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে সিলেটের আলোচিত ওসি আহাদসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার সিলেটের স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন এম মঈনুল হক বুলবুল নামে এক আইনজীবী। তার অভিযোগ, আদালত আমলে নিয়ে সিলেট দুর্নীতি দমন কমিশনকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্যতম আসামি পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুল আহাদ দুই মাস আগে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় যোগদান করেন। রবিবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখায় পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ ওসির সম্মাননা দেন পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন। সম্মাননা পাওয়ার একদিন পরই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হলো। এর আগে তিনি কানাইঘাটে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। সেখানেই আবদুল আহাদ দুর্নীতি করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আদালতসূত্র জানায়, ১০ ও ১৩ অক্টোবর মামলার দুদফা শুনানি শেষে সোমবার সিনিয়র স্পেশাল জজ এবং সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান এ মামলা আমলে নিয়ে দুদক সিলেটের উপপরিচালককে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। মামলার আসামিরা হলেনÑ কানাইঘাটের দীঘিরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল, দর্পনগর পশ্চিম গ্রামের তাজিম উদ্দিন, জহিরুল ইসলাম জহির, মো. আবু রায়হান পাভেল, মুসলিম উদ্দিন, মাছুগ্রাম গ্রামের এম মামুন উদ্দিন, দক্ষিণ কুয়রেরমাটি গ্রামের শাহাব উদ্দিন এবং কানাইঘাট থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ ও গোয়াইনঘাট থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুল আহাদ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সড়কের বাজারে আবদুল গফুর ওয়াকফ স্টেটের ভূমি ব্যবহার করে কানাইঘাট থানার তৎকালীন ওসি মো. আবদুল আহাদের প্রত্যক্ষ মদদে দীঘিরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এম মামুন উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে দীঘিরপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো আবু রায়হান পাভেলকে বাজারের হাসিল আদায়কারী সাজিয়ে অবৈধ পশুর হাট বসিয়ে পুলিশ ও বিজিবির নামে ঘুষের টাকা আদায় করেন।
এ বাজারে ভারত থেকে গবাদিপশু চোরাইভাবে আনতে বাংলাদেশি ৪৫০ কোটি টাকা আলী হোসেন কাজল ও তাজিম উদ্দিন তাদের নিযুক্ত লোকজন দিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করেন। টাকা পাচার ও চোরাচালানের পশুর হাট পরিচালনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে সাড়ে ৪ কোটি টাকা এ অবৈধ বাজার থেকে আদায় করা হয়।
মামলার বাদী এম মঈনুল হক বুলবুল জানান, গত ১ আগস্ট এ বাজারে কোরবানির পশু কিনতে গেলে তার কাছেও আসামিরা পুলিশের লাইনের (ঘুষ) নামে ৮০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হলে বিষয়টি ওসি মো. আবদুল আহাদকে জানালে তিনি এর কোনো প্রতিকার না করে ম্যানেজ করে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এর পরই বিশাল দুর্নীতির বিষয়টি তার নজরে এলে তিনি ১৮ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে আদালতে মামলা করেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব হুসাইন জানান, এটি একটি বড় দুর্নীতির মামলা। এ মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় চোরাচালনের গরুর হাট এটি। প্রতিদিন শত শত ট্রাকে এ বাজার থেকে সিলেট ও দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাচালানের গরু সরবরাহ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে ওসি আবদুল আহাদ আমাদের সময়কে বলেন, আদালত কী আদেশ দিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তি কী তা আপনাদের যাচাই করে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। বাদীর সঙ্গে আমার একটু দূরত্ব রয়েছে। আমি যদি ৪৫০ কোটি টাকা পাচার করে থাকি, তা হলে এখনই আমাকে নজরবন্দি করা উচিত।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019