০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রবিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বরিশাল: ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রজনন মৌসুমের সঙ্গে সমন্বয় করে এবার ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বেচাকেনা, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য বিভাগ।
ধারাবাহিকতায় গত ৯ অক্টোবর থেকে বরিশাল বিভাগের সর্বোত্র চলছে মৎস বিভাগের নেতৃত্বে অভিযান। যে অভিযানে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোষ্টগার্ড, নৌ-বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী সহায়তা করছে।
মৎস অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানাগেছ, গত ৯ তারিখ থেকে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় মোট ধারাবাহিকভাবে ৫১৩ টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। পাশাপাশি ২৪০ টি মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এবং মোট অভিযানের অনুকুলে ১৮৬ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া অভিযানে আটককৃতদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত ২ লাখ টাকার ওপরে জরিমানা এবং ১৫৪ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ লাখ মিটারের বেশি জাল ও প্রায় ৬ মেট্রিকটন ইলিশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, এখন পর্যন্ত বরিশাল যারা ধরা পড়ছে, তাদের অধিকাংশই মৌসুমী জেলে। নিয়মিতো জেলেরা নাই বললেই চলে।
আর মৎস্য অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আজিজুল হক বলেন, ইলিশের উপর নির্ভরশীল জেলেদের এসময় ২০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তারপরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ মাছ শিকার করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
বরিশাল জেলায় ৪৩ হাজার ৬৪৪ জন জেলেকে এবং বিভাগে ২ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩ জন জেলেকে নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে ২০ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।