১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বরিশাল নগরীতে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। গত ২৪ সেপ্টেম্বর নগরির উত্তর সাগরদী ২৩ নং ওয়ার্ড ইসলাম পাড়া থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশ ৬ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। অভিযানের সময় ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত তিন আসামী পালিয়ে যায়।
এঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. বশির আহম্মেদ মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
আটকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় এজাহার ভুক্ত পালাতক ৩নং আসামী মো: মেহেদী হাসান মিথুন বুধবার বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। বরিশাল মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আনিচুর রহমান এ নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, নগরির উত্তর সাগরদী ২৩ নং ওয়ার্ডস্থ ইসলাম পাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ধান গবেষনা এলাকার আবুল কালাম শেখের ছেলে মো. সানজিদ শেখ , জর্ডন রোড এলাকার মকবুল আহম্মেদের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের সাথে থাকা আরো ৩জন পালিয়ে যায়। এরমধ্যে বুধবার আদালতে আত্মসমর্পন করেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মেহেদী হাসান মিথুন। মিথুন নগরির ১০ নং ওয়ার্ড সিএ্যান্ডবি স্ট্যাফ কোয়াটার মহিলা পুলিশ ব্যরাকের পেছনের এসএম আবুল কালাম আজাদের ছেলে। সে বেশ কয়েকদিন পূর্বে বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসের ৩ ঠিকাদারকে চাঁদার দাবিতে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
জানা গেছে, এই বখাটে মিথুন এলাকায় দির্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছেন। মিথুন ইয়াবা ব্যবসার মূলহোতা বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা আরও জানায় তার কাছে বিভিন্ন এলাকা থেকে ইয়াবা সেবনকারী ও ব্যবসায়ীরা আসে।তিনি যুব সমাজের হাতে ইয়াবা দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। এই মামলার অপর আরো দুই আসামী এখনো পালাতক রয়েছে। এরা হলেন নগরির ব্রাউন্ড কম্পাউন্ড রোডের মৃত আবুল কাশেম সিকদারের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম ও ভাটারখাল এলাকার মো. সগীর।